বামফ্রন্টের কোচবিহার জেলার আহ্বায়ক তথা প্রবীণ সিপিএম নেতা চণ্ডী পালের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল তুফানগঞ্জে। সোমবার বিকালে তুফানগঞ্জের রায়ডাক পাড়ের শ্মশানঘাটে ওই প্রবীণ নেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। দলের কোচবিহার জেলা সম্পাদক তারিণী রায়, প্রাক্তন বনমন্ত্রী অনন্ত রায়, প্রাক্তন বিধায়ক তমসের আলি, ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য দীপক সরকার, দেবাশিস বণিক সহ অসংখ্য নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বহু সাধারণ বাসিন্দাও। রবিবার কোচবিহারে জেলা বামফ্রণ্টের বৈঠক চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হন চণ্ডীবাবু। পরে জেলা হাসপাতালে তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ রবিবার দলের জেলা দফতরে রাখা হয়। এ দিন দুপুরে পর্যন্ত সেখানেই মরদেহ রাখা হয়েছিল। দলের দার্জিলিং জেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জীবেশ সরকার, জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন বনমন্ত্রী যোগেশ বর্মন, প্রাক্তন দুই সাংসদ মিনতি সেন ও সমন পাঠক প্রয়াত নেতার মরদেহে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান।
পরে দেহটি শোকমিছিলের মাধ্যমে কোচবিহার থেকে তুফানগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। দলের জোনাল দফতরের সামনে চণ্ডীবাবুর মরদেহ রাখা হয়। সেখানে স্থানীয় নেতাকর্মী ও অসংখ্য বাসিন্দা তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানান। সেখানে তৃণমূল, বিজেপি থেকে কংগ্রেস নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। জোনাল দফতর থেকে চণ্ডীবাবুর মরদেহ বিকালে তাঁর বাড়িতে পৌঁছায়। স্ত্রী জবা পাল সহ পরিজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। দলের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তমসের আলি বলেন, “তুফানগঞ্জের সঙ্গে চণ্ডীদার নাড়ির টান ছিল। তুফানগঞ্জের বাড়ি থেকেই তিনি কোচবিহারে যাতায়াত করেছেন। চণ্ডীদা আর কোনওদিন পার্টি অফিসে বসবেন না তা ভাবতেই পারছি না।” আগামী ২৩ জুন কোচবিহারে, ২৭ জুন বক্সিরহাটে এবং ২৯ জুন তুফানগঞ্জে প্রয়াত নেতার স্মরণে সভা করবে সিপিএম। |