মিথ্যে মামলায় দলের কর্মীদের একাংশকে জড়ানোর অভিযোগে হলদিবাড়ি থানায় বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার দুপুরে ৮ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। হলদিবাড়ি ব্লক তৃণমূ্ল কংগ্রেস সভাপতি গোপাল রায় বলেন, “মিথ্যা মামলায় কাউকে জড়ানো চলবে না। আইন পরিষেবা সবাইকে সমান ভাবে দিতে হবে।” মাথাভাঙার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সীতারাম সিংহ বলেন, “মিথ্যা মামলায় কাউকে জড়ানো হচ্ছে না। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিন থানায় তৃণমূলের গোপাল রায়ের নেতৃত্বে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বামফ্রন্টের পক্ষে ফরওয়ার্ড ব্লকের হলদিবাড়ি ব্লক সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন, “এটা অবাক করার মত ঘটনা। যে দফতরের দায়িত্বে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, সেই দফতরের কাজকর্মের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিচ্ছে হলদিবাড়ি ব্লক তৃণমূল।” |
তৃণমূলের অভিযোগ, গত ২২ মে রেলগেট ভাঙচুরের ঘটনায় রাজু সরকার নামে একজন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী এবং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিপ্লব সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁরা ওই ঘটনায় জড়িত ছিলেন না বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। গত ৯ জুন ভাওলাগঞ্জের মোড়ে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। সেই ঘটনায় তৃণমূলের সদস্য নুরুল খালেক আহমেদকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “এগুলি সবই মিথ্যা মামলা। তদন্তের নামে পুলিশ নিরপরাধ ব্যাক্তিদের হয়রানি করছে। অবিলম্বে ওই ধরনের কাজকর্ম পুলিশকে বন্ধ করতে হবে।” ২২ মে তারিখে রাধাবাজারের একজন মিষ্টির দোকানের মালিক ধনঞ্জয় সরকার তার দোকান ভাঙচুরের জন্যে থানায় অভিযোগ করেন। তা নিয়ে পুলিশ মামলা করেনি বলে অভিযোগ। ওই তারিখে হলদিবাড়ি রেলগেট এলাকায় তৃণমূল যুবার তরফে ‘সমাজবন্ধু’দের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারির ফলে অনুষ্ঠান পন্ড হয়। ওই ঘটনার পর উভয় পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ উভয় পক্ষের ২৩ জনের নামে মামলা করে। তার মধ্যে গোপাল রায়ের গোষ্ঠীর ৯ জন মেখলিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। |