মালদহে অজানা রোগে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত দুই দিনে অজানা রোগে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৫টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে ১ জুন থেকে অজানা রোগে ৩৪টি শিশুর মৃত্যু হল। আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে ৭-৮ টি শিশু ভর্তি হচ্ছে। ওই শিশুদের বেশিরভাগের বয়স ২ থেকে ৮ বছরের মধ্যে। কালিয়াচক থেকেই শিশুরা আক্রান্ত হয়ে বেশি হাসপাতালে আসছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের এই সময় বিহারের মজফরপুরে একইভাবে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কিন্তু এখনও রোগের কারণ জানা যায়নি।” চিকিৎসকদের বক্তব্য, “প্রতিদিনই ৭-৮টি শিশু অজানা রোগে ভর্তি হচ্ছে। আর তারমধ্যে ২-৩টি করে শিশু মারা যাচ্ছে। আমরা এনসেফেলাইটিসের চিকিৎসা করছি। এন্টি কনভালশনেরও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।” সোমবার রাজ্যের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ইসিএনসিএস) সত্যজিৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তিনজনের একটি বিশেষজ্ঞ দল মালদহে এসেছেন। তাঁরা আক্রান্ত শিশুদের পরীক্ষা করেন। শিশুদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। কালিয়াচক এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেখানকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন। পরে সত্যজিৎবাবু বলেন, “এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতর উদ্বিগ্ন। অজানা রোগের কারণ ও অজানা রোগের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্বাস্থ্য দফতর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রোগের কারণ না জানা যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হচ্ছে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৭টা ৫ মিনিটে মারা গিয়েছে মানিকচকের মন্ডল পাড়ার ৬ বছরের অঙ্কুশ পাল। মৃত শিশুর বাবা মোহনলালবাবু বলেন, “ভর্তি করার সময় ছেলের প্রচন্ড খিঁচুনি হচ্ছিল। চিকিৎসকেরা জিজ্ঞাসা করলেও তাঁরা কিছুই বলতে পারেননি। সারারাত বেডে ছটফট করতে করতে ছেলে মরে গেল।” একইভাবে রবিবার দুপুর ২ টায় কালিয়াচকের আলিনগরের ৮ বছরের আসিফ মোমিন, বিকেল ৫টা পাঁচবছরের আইমুল আলম মারা গিয়েছে। পাশাপাশি, শনিবার ইসমাতারা খাতুন (৭) এবং আড়াই বছরের আবদুল করিমের মৃত্যু হয়েছে। |