টুকরো খবর
ব্লক অফিসে বিক্ষোভ
সময়ে অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়নি। ফলে পলাশিপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হলেও আগ্নিদগ্ধ এক মহিলাকে রবিবার ঘণ্টা দেড়েক পড়ে থাকতে হয় হাসপাতালেই। পরে কোনও রকমে একটি গাড়ি জোগাড় করে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পথেই মারা যান বিধি মণ্ডল (১৯)। তাঁর বাড়ি পলাশিপাড়ায়। এর প্রতিবাদে সোমবার তেহট্ট-২ ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখান পলাশিপাড়ার বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারী বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অ্যাম্বুল্যান্স তো দীর্ঘ দিন ধরেই নেই। তার উপরে হাসপাতালের গাড়িও আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে একটা গাড়ি পাই। তবে বিধিকে বাঁচানো যায়নি। সময়ে অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া গেলে ও হয়ত বেঁচে যেত।” বিডিও শেখ জাহাঙ্গির বলেন, “ওই হাসপাতালে যাতে একটা অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা যায় সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করছি তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”

মারা গেল সদ্যোজাত
দিনহাটার বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা মহন্তের সেই সদ্যোজাত শিশুপুত্রের মৃত্যু হল। সোমবার সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকেরা জানান, অপরিণত প্রসব জনিত নানা সমস্যায় জন্মের পর থেকে শিশুটি অসুস্থতায় ভুগছিল। শর্মিষ্ঠা দেবীর আত্মীয় সমর মহন্ত বলেন, “অপরিণত প্রসব না হলে হয়ত এমন ঘটনা এড়ানো যেত।” দিনহাটার গীতালদহের বাসিন্দা সাত মাসের সন্তান সম্ভবা শর্মিষ্ঠা মহন্তকে গত বুধবার বিকেলে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান তার আত্মীয়রা। রাতেই শিশুপুত্রের জন্ম হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শরণ্যা ঘোষ(চৌধুরী) শর্মিষ্ঠা দেবীকে লেবার রুমে ডেকে তাঁর গভর্স্থ সন্তান মৃত বলে জানান। ওই সন্তান প্রসবের জন্য ওষুধ দেন বলে তাঁর বাবা দিনহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। পরদিন শিশুটির শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তাকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

বেহাল নিকাশি, ক্ষোভ
হাসপাতালের গেটে এ ভাবেই জমেছে জল। ছবি: সমীর দত্ত।
নর্দমার নোংরা জল হাসপাতালে ঢোকার প্রধান পথ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই পরিস্থিতি চলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা। মানবাজার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ সিং হাঁসদা বলেন, “হাসপাতালে ঢোকার মুখে রোগীর পরিজনদের একটি বিশ্রামাগার রয়েছে। ওই বিশ্রামাগারটি সংস্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। নির্মাণ সামগ্রী জড়ো হয়ে নিকাশি নালার মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই বিপত্তি। বিশ্রামাগারটি মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে। ওরাই সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে বিডিওকে জানিয়েছি।” মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “ওখানে নিকাশি নালায় আগে থেকেই সমস্যা ছিল। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশ্রামাগার সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে।”

কিট অমিল, থমকে রক্তদান
রক্ত দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ‘র্যাপিড কিটে’র সমস্যায় জেরবার আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এতে হাসপাতালে রক্তদাতা এসেও ‘কিট’ না থাকায় ফিরে যাচ্ছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, “ঘটনাটি উদ্বেগজনক। মহকুমা হাসপাতালে ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট রয়েছে। কিট না থাকায় রোগীর আত্মীয়েরা রক্তদাতাদের নিয়ে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। হাসপাতাল সুপারকে দ্রুত স্বাস্থ্য ভবন থেকে কিট আনারা জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” গত দেড় মাস ধরে হাসপাতালে এই সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালের তরফে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে বিষয়টি জানানো হলেও ব্যবস্থা হয়নি।

প্রয়োজনীয় কিট নেই, থমকে রক্তদান
রক্ত দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ‘র্যাপিড কিটে’র সমস্যায় জেরবার আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এতে হাসপাতালে রক্তদাতা এসেও ‘কিট’ না থাকায় ফিরে যাচ্ছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, “ঘটনাটি উদ্বেগজনক। মহকুমা হাসপাতালে ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট রয়েছে। কিট না থাকায় রোগীর আত্মীয়েরা রক্তদাতাদের নিয়ে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। হাসপাতাল সুপারকে দ্রুত স্বাস্থ্য ভবন থেকে কিট আনারা জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” গত দেড় মাস ধরে হাসপাতালে এই সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালের তরফে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে বিষয়টি জানানো হলেও ব্যবস্থা হয়নি।

মিড-ডে খেয়ে অসুস্থ পড়ুয়ারা
স্কুলের মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ১২ জন ছাত্রছাত্রী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার পাতিখালি এলাকার একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন স্কুলের মিড-ডে মিলের খিচুড়ি খাওয়ার পর অসুস্থ বোধ করতে থাকে পড়ুয়ারা। খবর পেয়ে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে একটি মেডিক্যাল টিম পৌঁছয় ওই এলাকায়। প্রায় ৩০ জন পড়ুয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। পরে অবস্থা বেগতিক বুঝে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের সুপার হারাধন বর্মণ জানান, খাবারে বিষক্রিয়া হওয়াতেই এই বিপত্তি। তবে চিকিৎসার পরে প্রত্যেকেই আপাতত সুস্থ।” পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হাসান বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার পরই এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছিলাম। আপাতত ছাত্রছাত্রীরা সুস্থই আছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.