তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদনকারীকে এক মাসের মধ্যে কেন তথ্য দেওয়া গেল না, পঞ্চায়েতের সচিবের কাছে সে জন্য কৈফিয়ৎ তলব করলেন বিডিও। ঘটনাটি হুড়া ব্লকের মাগুড়িয়া-লালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। মাগুড়িয়া গ্রামের যুবক পেশায় স্থানীয় একটি বৃত্তিমূলক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রশিক্ষক সুব্রত মাহাতো গত ৯ মে মাগুড়িয়া-লালপুর পঞ্চায়েতের কাছে সম্প্রতি এলাকার তিনটি রাস্তা ও দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রান্নাঘর-সহ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে কিছু তথ্য ওই আইনে জানতে চান। কাজগুলির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তিনি ওই আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওই তথ্য প্রস্তুত করতে না পারায় তাঁকে দেওয়া যায়নি বলে পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছিলেন। এর পরেই তিনি বিডিও-র কাছে আবেদন করেন ও অভিযোগের তদন্ত দাবি করেন।
হুড়া ব্লকের বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিত বলেন, “কেন একমাস সময় পেয়েও উন্নয়ন সংক্রান্ত এই তথ্যগুলি আবেদনকারীকে দেওয়া যায়নি, তা জানতে চেয়ে ওই পঞ্চায়েতের সচিবকে ‘শো-কজ’ করা হয়েছে। তাঁকে সাত দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।” তিনি জানান, কাজের মান নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা তা খতিয়ে দেখার জন্য একজন আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুব্রতবাবু বলেন, “এ বার আমি রাজ্যের তথ্য কমিশনারের দ্বারস্থ হব।” পঞ্চায়েত সচিব বক্রেশ্বর মণ্ডল বলেন, “আমি পঞ্চায়েতের সহকারি জনতথ্য আধিকারিক। প্রধান জনতথ্য আধিকারিক হলেন নির্বাহী সহায়ক। নির্বাহী সহায়ক থাকায় তিনিই তথ্য জানাবেন। আমার জবাবে এ সব উল্লেখ থাকবে।” নির্বাহী সহায়ক তপন বাউরির অবশ্য দাবি, “এটা ঠিক। তবে এ ক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই। কেন না, ওই যুবকের আবেদনপত্র বক্রেশ্বরবাবুই নিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি আমাকে কিছু জানাননি। যখন জানতে পারলাম তখন আমার কিছু করার ছিল না।” |