|
|
|
|
ডাকঘর না সরানোর দাবিতে পথ অবরোধ বনগাঁয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও ডাকঘর সরিয়ে না নেওয়ার দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল জনতা। দু’জন ডাককর্মীকেও এ দিন অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বনগাঁর চাঁপাবেড়িয়া মোড়ের কাছে বনগাঁ-চাকদহ রোড অবরোধের জেরে প্রচণ্ড নাজেহাল হতে হল নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ সকলকে। শেষ পর্যন্ত ডাকঘর না সরানোর প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর অবরোধ তুলে নেয় জনতা।
বারাসত ডাক বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, বছর দুয়েক আগে উপ-ডাকঘরটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সাধারণ মানুষের আপত্তিতে তা প্রত্যাহার করা হয়। গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তবে উপ-ডাকঘরটি বন্ধ হচ্ছে না।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে আগেই নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, চাঁপাবেড়িয়া মোড়ের কাছে যে উপ-ডাকঘর রয়েছে তা ১৮ জুন থেকে বনগাঁ মুখ্য ডাকঘরের অধীনে শাখা অফিস হিসাবে কাজ করবে। সেই মতো এ দিন কাজ শুরু করতে গেলে বাধা দেন স্থানীয় মানুষ। নাগরিক কমিটি তৈরি করে মাইক বেঁধে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ সভা শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে বিমলকান্তি বসু ও রঞ্জন সেন বলেন, “২০০৯ সালেও ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে চাঁপাবেড়িয়ার উপ-ডাকঘরটি তুলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় মানুষের আন্দোলনের জেরে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন ডাক কর্তৃপক্ষ। ফের উপ-ডাকঘরটি তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাই আমরা রাস্তা অবরোধ করি। শেষ পর্যন্ত ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা জানানোর পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।”
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ চাঁপাবেড়িয়ার কাছে বনগাঁ-চাকদহ সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা আটকে দেয় জনতা। ফলে আ:টকে পনে যানবাহন। সপ্তাহের প্রথম দিন কাজে বেরিয়ে এমন অবস্থায় পড়ে নাজেহাল হতে হয় পথ চলতি মানুষকে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, উপ ডাকঘরটি প্রায় ৩৩ বছরের পুরনো। স্থানীয় ঠাকুরপল্লি, নতুনগ্রাম, বনবিহারী কলোনি, চাঁপাবেড়িয়া, চালকি, পলতা-সহ প্রায় ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মানুষএই উপ-ডাকঘরটির উপরে নির্ভরশীল। এখান থেকে বহু মানুষ পেনশন পান। কয়েক হাজার গ্রাহকের মধ্যে বেশিরভাগই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও মহিলা। তাঁদের অনেকের পক্ষেই শারীরিক কারণে বনগাঁ মুখ্য ডাকঘরে যাওয়া সম্ভব নয়। যেমন ৮৭ বছরের ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং ৭৮ বছরের গৌরচন্দ্র ভদ্রের কথায়, “বয়সের কারণে অতদূরের ডাকঘরে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের মতো বৃদ্ধদের স্বার্থেই এখানে উপ-ডাকঘরটি থাকা প্রয়োজন।” |
|
|
|
|
|