দিনেদুপুরে স্টেশন লাগোয়া একটি দোকানে ঢুকে কর্মীদের বেঁধে লক্ষাধিক টাকা লুঠের অভিযোগ উঠেছে মাজদিয়ায়। সোমবার মাজদিয়া স্টেশন সংলগ্ন একটি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়কেন্দ্রে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন দোকানের মালিক বিমান রায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।” মাজদিয়া স্টেশনের সামনেই ওই বিনিময়কেন্দ্রটি। আশেপাশেও প্রচুর দোকান-পাট। স্টেশন ও বাজার এলাকায় সকাল থেকেই ভিড় থাকে। বিমানবাবু বলেন, “আমি আর আমার ভাই রিপন তখন দোকানে ছিলাম। দুপুর একটা নাগাদ দুই যুবক দোকানে ঢোকে। পাসপোর্ট তৈরি করতে কত টাকা লাগে সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে করে। আরও চার জন ভিতরে আসে। পাসপোর্ট তৈরির জন্য আগাম টাকা দেওয়ার নাম করে অস্ত্র বের করে। আমাদের কাছ থেকে লকারের চাবি কেড়ে নেয়। গামছা দিয়ে হাত বেঁধে মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে দেয়। টাকা পয়সা নিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালায়।” ডাকাতি নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন অবশ্য থেকেই যাচ্ছে। জনবহুল এলাকায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল কিন্তু আশপাশের কেউ টেরও পেল না কেন? তদন্তকারী এক পুলিশকর্তার প্রশ্ন, ওঁদের হাত বেঁধে রাখা হয়, তবে ডাকাতির পরে তাঁরা নিজেরাই হাত খুলে বাইরে বেরিয়ে এলেন কী ভাবে?” ওই বিনিময়কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনা শুনে অবাকই হয়েছেন পড়শি দোকানিরা। পাশের এক দোকানি মহাদেব সাহা বলেন, “এত কিছু হয়ে গেল, কিন্তু আমরা তো কিছু বুঝতেই পারিনি।” তবে বিমান বাবু বলেন, “অনেকক্ষণের চেষ্টায় হাতের বাঁধন খুলে ফেলি। তারপর বাইরে বেরিয়ে আসি। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করলেও ভিতর থেকে জোরে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে যায়।” ডাকাতির ঘটনার পরে বিমানবাবু ও তাঁর ভাই রিপনের ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ। মাজদিয়া রেল বাজার কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য স্বপন ভৌমিক বলেন, “সত্যিই যদি দিনেদুপুরে এই ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তা উদ্বেগের বিষয়। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই।” |