উৎসাহটুকুই সার। ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। ফুটবলটা হবে কী করে!
প্রায় বন্ধ হতে বসা ডোমকল ফুটবল লিগে সামান্য অক্সিজেন জুগিয়ে ছিলেন সাংসদ মান্নান হোসেন। কিন্তু তাতে আর কত দিন টানা যায়? প্রায় ‘ভেন্টিলেশনে’ চলে যাওয়া মুর্শিদাবাদের প্রান্তিক এই মহকুমার লিগকে শেষ মুহূর্তে আলো দেখাল একটি বেসরকারি কম্পিউটার সংস্থা। হঠাৎই তাই ‘অভাবের’ ছবিটা বদলে যেতে শুরু করেছে।
ওই সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় এ বার অনটন ভুলে বেশ মেতেছে সীমান্তের ফুটবল। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলেছে অনুশীলন। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ধীমান দাসের গলায় তাই স্পষ্টই উচ্ছাস, “চার বছর ধরে লিগ চালাতে গিয়ে ঋণে ডুবে গিয়েছিলাম। এ বার ওই সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের আস্বস্থ করা হয়, পিছিয়ে যাবেন না আমরা আছি। ওঁরা এগিয়ে আসায় রাতের উড়ে যাওয়া ঘুম ফিরেছে! ডোমকল ফের ফুটবল লিগ দেখবে।”
পরিচিত ওই কম্পিউটার সংস্থার নামেই শুরু হচ্ছে ডোমকল মহকুমা ফুটবল লিগ। প্রতিটি খেলায় থাকবে সংস্থার পোস্টার-ব্যানার। মাঠে অন্য কোনও বিজ্ঞাপন থাকবে না বলেই ক্রীণা সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ওই কম্পিউটার সংস্থার আঞ্চলিক ম্যানেজার অভ্র দাস বলেন, “ব্যবসায়িক স্বার্থই সব নয়। প্রান্তিক এই মহকুমায় আমাদের বিজ্ঞাপন কতটুকুউ বা ব্যবসায়িক? তবে প্রত্যন্ত গ্রামে ফুটবল যাতে বন্ধ না হয়, তা দেখাই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল। আমাদের লগ্নি ফুটবল বাঁচাতেই, আমরা চাই আমাদের নামের পাশাপাশি গ্রামে-গ্রামে ছড়িয়ে পড়ুক ফুটবলের জনপ্রিয়তা।”
এ বারের মহকুমা লিগে খেলছে ২৩টি দল। খেলোয়াড় সংখ্যা প্রায় হাজার। ৮টি নতুন দল খেলবে দ্বিতীয় বিভাগে। শুক্রবার থেকেই যা শুরুও হয়ে গিয়েছে। ওই দিন মহকুমার এসডিএসএ মাঠে ইসলামপুর চক মহামায়া ক্লাবের সঙ্গে খেলা ছিল সাহাদিয়াড় সবুজ সঙ্ঘের। খেলাটি ১-১ গোলে অমিমাংসীত ভাবে শেষ হয়েছে। উদ্বোধনী খেলায় জোর প্রশাসনিক কর্তারাও মাঠে উপস্থিত ছিলেন। |