|
|
|
|
ইন্দিরা আবাসের লক্ষ্যমাত্রা পূর্বে ১৭, পশ্চিমে ২৪ হাজার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দারিদ্র-সীমার নীচে থাকা পরিবারগুলিকে সরকারি খরচে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিতেই চালু হয়েছিল ইন্দিরা আবাস যোজনা। এই প্রকল্পে চলতি আর্থিক বছরে (২০১২-১৩) পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় ১৭ হাজার বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। একই ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সাড়ে ২৪ হাজার গৃহ-নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে এই যোজনায় ১৭ হাজার গৃহ-নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য বেঁধে দিয়ে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে জেলা পরিষদ।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে রাজ্যে ইন্দিরা আবাস যোজনায় মোট ২ লক্ষ ২০ হাজার গৃহ-নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর। রাজ্যের ১৯টি জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী গৃহ-নির্মাণের জন্য প্রায় সাড়ে সাতশো কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকার তাদের অংশে দেবে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। দারিদ্র-সীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারদের গৃহ-নির্মাণে বাড়ি-পিছু ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে চলতি আর্থিক বছরে যথাক্রমে ১৭ হাজার ৩৯টি ও ২৪ হাজার ৬৩৭টি বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে তফসিলি, প্রতিবন্ধী ও সংখ্যালঘুদের জন্য অর্থ সংরক্ষণ করারও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মাসিক উন্নয়ন পর্যালোচনা বৈঠকে এই যোজনায় গৃহ-নির্মাণের ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিতে প্রতিটি ব্লকের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের তরফে জেলার ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতকেই ইন্দিরা আবাস যোজনায় গৃহনির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে জেলা পরিষদ-সহ জেলায় অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে আসার পর প্রায় চার বছর কেটে গিয়েছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে আর এক বছরও বাকি নেই। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় গ্রামোন্নয়ের কাজের খতিয়ান দিতে হবে শাসক তৃণমূলকেই। তাই তৃণমূল পরিচালিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ ইন্দিরা আবাস যোজনা, ১০০ দিনের মতো জনমুখী প্রকল্প রূপায়ণে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরার দাবি, “গত বছর ইন্দিরা আবাস যোজনায় জেলায় প্রায় ১৬ হাজার গৃহ-নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আমরা তার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করেছি। চলতি বছরে প্রায় ১৭ হাজার গৃহ-নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকে দ্রুত কাজ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|