গণদেবতাই সব, বললেন বন্দি লক্ষ্মণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পুরভোটের জয় মানুষকে উৎসর্গ করেছিলেন হলদিয়ার পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ। বলেছিলেন, “লক্ষ্মণ শেঠকে মিথ্যা মামলায় জেলবন্দি করার জবাব দিয়েছেন মানুষ।”
সোমবার মানুষের প্রতি ‘আস্থা’র সেই সুরই শোনা গেল লক্ষ্মণ শেঠের গলায়। হলদিয়া পুর-নির্বাচনে বামেদের জয়ের পর এ দিনই প্রথম প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল প্রাক্তন সিপিএম সাংসদের। আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের তিনি বললেন, “কৌরব বংশকে ধ্বংস করেছিলেন সারথি শ্রীকৃষ্ণ। প্রতিটি ক্ষেত্রে গণদেবতাই সব।” নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে হলদিয়া সাব-জেলে বন্দি রয়েছেন লক্ষ্মণবাবু। পুরভোটে বামেদের জয়ের পর এ দিনই প্রথম তাঁকে হলদিয়া আদালতে হাজির করানো হয়। সঙ্গে আরও ১১ জন সিপিএম নেতা-কর্মী। ১২ জনকেই ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম বিশ্বনাথ প্রামাণিক। |
|
আদালত চত্বরে লক্ষ্মণ শেঠ। ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
আদালতে ঢোকা-বেরনোর পথেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন লক্ষ্মণবাবু। দৃশ্যতই খোশমেজাজে ছিলেন তিনি।
পুরভোটে আপনাদের সাফল্য, কী বলবেন? লক্ষ্মণবাবুর জবাব, “যা বলার মানুষই বলবেন।” ৯০ দিন কেটে গেলেও লক্ষ্মণ শেঠরা জামিন না-পাওয়ায় ক্ষুব্ধ তমালিকাদেবী। মামলার চার্জ-গঠনও হয়নি। তমালিকাদেবী বলেন, “এতদিন ধরে শুধুমাত্র গাড়ির ‘লগ-বুক’ দেখিয়ে এ ভাবে আটকে রাখা যায় না। প্রয়োজনে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব। ওঁরা মুক্তি পাবেনই।”
এ দিনই নন্দীগ্রামে মাওবাদী-কার্যকলাপে অভিযুক্ত দেবলীনা চক্রবর্তী ও অভিজ্ঞান সরকারকে হলদিয়া আদালতে হাজির করা হয়েছিল। অভিজ্ঞানের আইনজীবী জামিনের আবেদন করছিলেন, কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দেন। অভিজ্ঞান ও দেবলীনাকেও ফের ১৪ দিনের জন্য জেলহাজতে পাঠান ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম। |
|