নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিতর্কিত অ্যাথলিট পিঙ্কি প্রামাণিক পুরুষ না মেয়ে তা নির্ধারণ করবে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। সোমবারই গঠিত হল বোর্ড। আদালতের নির্দেশ হাতে পেলে আজ মঙ্গলবার দুপুরেই বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে ‘সোনার মেয়ে’-কে।
যদিও, সেই পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে বিশেষ আশাবাদী নন সাইয়ের চিকিৎসকেরা। সাইয়ের যে চিকিৎসকেরা এর আগে পিঙ্কির মতো বিতর্কিত অ্যাথলিটদের পরীক্ষা করেছেন, তাঁদের মতে, শরীরে পুরুষ হরমোন বেড়ে যাওয়াতেই পিঙ্কিকে নিয়ে এত বিতর্ক হচ্ছে। তাঁদের দাবি, প্রচলিত পরীক্ষায় পিঙ্কির মতো অ্যাথলিটদের লিঙ্গ নির্ধারণ সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য পেতে গেলে জিন সংক্রান্ত পরীক্ষা করা জরুরি। যা জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামোয় করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে এই বিতর্কে মেডিক্যাল বোর্ড কতটা পথ দেখাতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
কাল পরীক্ষা হলেও, কত দিনের মধ্যে ডাক্তাররা তাদের মতামত জানাবেন তা জানাতে পারেননি উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত শীল। মেডিক্যাল বোর্ডে কত জন পুরুষ ও কত জন মহিলা ডাক্তার থাকবেন তা নিয়েও কিছু বলতে চাননি তিনি। সুকান্তবাবু বলেন, “গায়নোকলজিস্ট, সাইক্রিয়াটিস্ট-সহ সাত জন রয়েছেন মেডিক্যাল বোর্ডে। তাঁদের সঙ্গে সব সময় মহিলা সাহায্যকারীরা থাকবেন।”
ধর্ষণ, মারধর-সহ একাধিক অভিযোগে বারাসত আদালত দোহা এশিয়ান গেমসের সোনাজয়ী পিঙ্কিকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলে থাকাকালীনই পিঙ্কির পরীক্ষা করতে হবে। পিঙ্কি রয়েছেন দমদম সেন্ট্রাল জেলের একটি বিশেষ ওয়ার্ডে। কিন্তু ইতিমধ্যেই চার দিন পেরিয়ে গিয়েছে। দশ দিনের মধ্যে কি রিপোর্ট জমা দিতে পারবে মেডিক্যাল বোর্ড? সুকান্তবাবু বলে দেন, “যতক্ষণ না পিঙ্কিকে ওঁরা দেখছেন, ততক্ষণ বলা যাবে না পুরো ব্যাপারটি শেষ হতে কত দিন লাগবে। আগে তো আদালতের নির্দেশ হাতে পাই। জেল থেকে হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পিঙ্কিকে নিয়ে যেতে হলে আদালতের অনুমতি দরকার। আমরা সেই আবেদন করেছি।” |