এ যেন তাঁরই ছায়া। কয়েক যুগ আগে লর্ডসের মাঠে যে খেল দেখিয়েছিলেন পটৌডির নবাব, তার ছায়া। সেই লর্ডস। সেই অক্সফোর্ড। তবে যাদের মধ্যে টাইগারের খিদে দেখল গোটা লন্ডন, তারাই হারিয়ে দিল পটৌডির অক্সফোর্ডকে।
নিকি রবি ও নীরু রবি। গত কাল যমজ দুই বোনের হাতেই নাকানিচোবানি খেয়ে গেল অক্সফোর্ড। কেমব্রিজের অনুর্ধ্ব উনিশ ক্রিকেট দলটাকে প্রায় একাই জিতিয়ে দিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়ে দু’টো, যে ভাবে এক দিন অক্সফোর্ডকে জিতিয়ে ছিলেন পটৌডি অল-রাউন্ডার নিকির দুরন্ত ৭৬, তার পর ১২ রানে চার উইকেট আর নীরুর তিন তিনটে মোক্ষম উইকেট। |
যমজ দুই বোন নিকি ও নীরু রবি। —নিজস্ব চিত্র |
জন্ম চেন্নাইয়ে। তার বছর কয়েক পরেই ভারত ছেড়ে চলে আসা দুই বোনের নতুন ঠিকানা হয় উত্তর লন্ডনের হ্যারো। শহরের ওই অঞ্চলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলার তেমন চল নেই। তবে যে খেলা ভারতে ‘ধর্ম’, তার প্রতি ভালবাসা তো এ মেয়েদের মজ্জায়। তা ছাড়া পাশে তো আছেনই লেগ স্পিনার মা। তাই ব্যাটে-বলে হাতেখড়ি করান তিনিই লেভেল টু কোচ চিত্রা রবি।
এখন হেডস্টোন মেনর লেডিজ ক্রিকেট ক্লাবে খেলে নিকি আর নীরু। সেখানে খেলোয়াড় ৬০ জন। তার মধ্যে ৫৮ জনই এশীয়। শুধু খেলাই নয়, পড়াশোনাতেও দু’জনেই তুখোড়। হাই গ্রেড নিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছে এ বছরই। মৃদঙ্গম, বাঁশি, ভায়োলিনেও হাত পাকাচ্ছে দুই বোন। তবে আপাতত লর্ডসের মাঠে তাদের যুগলবন্দি সাড়া ফেলে দিয়েছে লন্ডনে।
টাইগারের স্মৃতিতে লন্ডন জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এমসিসি। লর্ডসের লং রুমে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে, উইনচেস্টারে পটৌডির স্কুলে। সে উপলক্ষে মুম্বই থেকে উড়ে এসেছিলেন শর্মিলা। হাজির ছিলেন সইফ-করিনা। এসেছিলেন সইফের দুই বোন সোহা, সাবাও। ক্রিকেট দুনিয়ার তারকারা তো ছিলেনই। লর্ডসের মাঠে কিন্তু এঁরা কেউ ছিলেন না। ছিল না তেমন গ্ল্যামার, ক্যামেরার ঝলকানি। ছিল শুধু ছায়া টাইগারের ছায়া।
আর স্মৃতি। |