সেই ২০০৬ বিশ্বকাপে শেষ বার বড় টুর্নামেন্টে গ্রুপ লিগের গণ্ডি টপকেছিল ফ্রান্স। চার বছর আগের ইউরো এবং ২০১০ বিশ্বকাপে চূড়ান্ত ব্যর্থ ফরাসিরা। তার পর লরা ব্লাঁ-র হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানো। ফরাসি ফুটবলে এটাই বিপ্লব!
বিপ্লবের মাহাত্ম্য আরও ভাল বোঝা যাবে একটা ছোট্ট পরিসংখ্যানে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ২-০ জয়টা জিদান বা প্লাতিনি ছাড়া ইউরোয় ফ্রান্সের একমাত্র জয়। নতুন আশায় তাই ফুটতে শুরু করেছে তরুণ ফরাসি শিবির। লক্ষ্য, গ্রুপের প্রথম স্থান। যাতে কোয়ার্টার ফাইনালে এড়ানো যায় স্পেনকে। সেই সঙ্গে রয়েছে আরও একটা দায়। দেশের মানুষের কাছে সম্মান পুনরুদ্ধার।
|
মঙ্গলবার সুইডরাও মাঠে নামছে ওই শব্দটার জন্যই। সম্মান। প্রথম বারের জন্য কোনও বড় টুর্নামেন্ট থেকে মাত্র দু’টো ম্যাচ খেলেই ছিটকে গিয়েছে তারা। এক নম্বর তারকা ইব্রাহিমোভিচের কথায়, “সম্মানের জন্যই খেলব।” ফ্রান্সের বিরুদ্ধে শেষ বার মাঠে নামছেন সুইডেনের স্টপার ওলফ মেলবার্গ এবং মিডফিল্ডার সোয়েনসন। তাঁদের জন্য ভাল খেলতে চান ইব্রাহিমোভিচরা। ফরাসিরা চান নিজেদের দুর্নাম ঘোচাতে।
ফরাসি মাঝমাঠের তারকা সমীর নাসরি বলছেন, “দেশের মানুষকে দেখাতে চাই যে আমাদের ইগো নেই। ফ্রান্সে আমাদের জাতীয় দলের ইমেজটা খুব খারাপ। সেটা ঘোচানোর চেষ্টা গত দু’বছর ধরে করছি। এখন দেখুন, টানা ২৩ ম্যাচে হারিনি।” শুধু তাই নয়, শেষ দশ ম্যাচে সাতটা জয়। যার মূল কৃতিত্ব বর্তাচ্ছে কোচ ব্লাঁ এবং নতুন প্রজন্মের উপর। যার সদস্য নাসরি-বেঞ্জেমারা। নাসরির কথায়, “আমাদের বোঝাপড়াটা ভাল কারণ সবাই অনেক ছোট থেকে একসঙ্গে খেলছি।”
ফ্রান্সের প্রথম এগারোয় ঢোকার প্রতিযোগিতাও তুঙ্গে। মালুদার বদলে সুযোগ পেয়েই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গোল করেন মেনেজ। আবার পাত্রিস এভ্রার বদলে টিমে ঢুকে দুর্দান্ত খেলেছেন লেফ্ট ব্যাক গেল ক্লিচি। প্রচণ্ড ব্যস্ত দলের ভিডিও অ্যানালিস্ট থিয়েরি মার্সজালেকও। “ইউক্রেন-ম্যাচে রিবেরির ভিডিওটা তৈরি করতেই তো কালঘাম ছুটে গেল। ওর পায়ে বল পৌঁছেছে ১০০ বারেরও বেশি।” |