তাঁর কখনওই মনে হয়নি জার্মানি ইউরো থেকে ছিটকে যেতে পারে।
যদিও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পর্তুগালের কাছে হারছে ডাচরা, জার্মানি বনাম ডেনমার্ক ম্যাচ ১-১ ড্র চলছে, ওই অবস্থায় ড্যানিশ ডিনামাইটদের আরও একটা গোল মানে ছিল, পর্তুগাল আর ডেনমার্কের হাতে কোয়ার্টার ফাইনালের ছাড়পত্র। এবং গ্রুপে দাপিয়েও শেষমেষ জার্মানির মৃত্যু-ঘণ্টা।
কিন্তু ইয়োগি লো ও সবে পাত্তা দিলে তো?
“আমার কিন্তু একটা প্ল্যান ছিল,” রবিবার ম্যাচ শেষে বলে ফেলেছেন টিম জার্মানির নেপথ্য নায়ক। “ডেনমার্ক আরও একটা গোল করে ফেললে কী হতে পারে, জানতাম আমি। কিন্তু কখনও মনে হয়নি সেটা হতে পরে বলে। তা ছাড়া জানতাম অহেতুক ঘাবড়ে গিয়ে কোনও লাভ নেই। তাই হালকা মেজাজেই ছিলাম,” বেশ আত্মবিশ্বাসী শোনায় লো-র গলা।
|
আত্মবিশ্বাসী হওয়ার যথেষ্ট কারণও আছে। টুর্নামেন্টে একমাত্র অপ্রতিরোধ্য লাগছে শুধুমাত্র জোয়াকিম লো-র টিমকেই। ইন্টারনেট, বিশেষজ্ঞদের কলাম নিয়মিত ভরে যাচ্ছে সোয়াইনস্টাইগারদের তুমুল প্রশংসায়। বিশেষজ্ঞদের মত হল, প্ল্যান ‘এ’ ডাহা ফেল মারলে সঙ্গে সঙ্গে প্ল্যান ‘বি’ আমদানি করছেন লো। রবিবার যেমন। মারিও গোমেজের চরম ব্যর্থতার দিনে গোল তুলে নিলেন লার্স বেন্ডার। ফুটবলমহলের ধারণা, এই জার্মান টিমে মশলা যেমন আছে, তেমনই পর্দার আড়ালে রয়েছে লো-র মস্তিষ্ক। মনে করা হচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি ‘এল মায়েস্ত্রো’-র শিরোপা লো পেয়ে গেলে অবাক হওয়ার থাকবে না। “আমরা হারতাম কী ভাবে? সব সময়ই বাস্তিয়ান সোয়াইস্টাইগার আর স্যামি খেদেইরা বলের দখল নিজের কাছে রাখছিল। বরং আমার মন বলছিল, যে কোনও সময় গোল দিয়ে দেব,” বলে দিচ্ছেন য়ুরেগন ক্লিন্সম্যানের ভাবশিষ্য। কিন্তু এই আত্মবিশ্বাসের প্ল্যাটফর্ম কী? লো-র উত্তর, “ডেনমার্ককে দেখে কখনওই মনে হয়নি ওরা জেতার জন্য খেলছে। মনে হচ্ছিল, ড্র করলেই ওরা সন্তুষ্ট থাকবে।”
তবে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে টিমের পারফরম্যান্সে জার্মান কোচ খুশি, এমন ভাবার কারণ নেই। বরং লো বলছেন, “দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক ভাল খেলেছি ঠিকই, কিন্তু আরও উন্নতি করতে হবে।”
শুক্রবার গ্রিসের বিরুদ্ধে চাইছেন জার্মানদের পরিচিত ‘কিলার ইন্সটিংট’। বেকেনবাউয়ার থেকে জার্ড মুলার, ক্লিন্সম্যান থেকে মাইকেল বালাক— সবার যে জিনিসটা সহজাত ছিল।
ড্যানিশদের বিরুদ্ধে ‘কিলার ইন্সটিংট’ দেখেননি ইয়োগি লো। গ্রিসের বিরুদ্ধে দেখতে চান। |