|
|
|
|
সিপিএম নেতা প্রহৃত, অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
একটি জুনিয়র হাই-মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির সভাপতি মনোনীত হওয়ায় গোঘাটের পূর্ব চাকলা গ্রামের এক সিপিএম নেতাকে বেধড়ক মারধর এবং সঙ্গে থাকা তাঁর পুত্রবধূকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকালে গোঘাটের কুমারগঞ্জ সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদীর টোল-ট্যাক্স কেন্দ্রের কাছে ওই ঘটনা ঘটে। হারুণ মণ্ডল নামে প্রৌঢ় ওই সিপিএম নেতা কুমারগঞ্জ কৃষকসভার অঞ্চল সম্পাদক। মোটরবাইকে পুত্রবধূকে নিয়ে বর্ধমানের মাধবডিহি থানার একলক্ষ্মী এলাকা থেকে ফিরছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় হারুণবাবুকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার আগে অবশ্য হামলাকারীদেরই একাংশ প্রহৃত ওই সিপিএম নেতাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এ দিন রাত পর্যন্ত অবশ্য পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি হারুণবাবু। পুলিশ জানায়, প্রহৃত ওই নেতার কাছে লিখিত অভিযোগ চাওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। হামলার কথা মেনে নিয়ে পূর্ব চাকলা গ্রামের তৃণমূল নেতা চঞ্চল রায় বলেন, “সিপিএম ছেড়ে আমাদের দলে আসা কয়েক জন ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। সে কথা দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”
হারুণবাবু কিছু দিন আগে পর্যন্ত ওই হাই-মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির সম্পাদক ছিলেন। তৃণমূলের হুমকিতে তাঁকে পদ থেকে সরে যেতে হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল সে অভিযোগ মানেনি। দিন কয়েক আগে গোঘাট-২ ব্লকের স্কুল পরিদর্শকের উপস্থিতিতে ‘অ্যাড-হক’ কমিটির মাধ্যমে তিনি ওই মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। তার পর থেকেই তাঁকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ হারুণবাবুর। তিনি বলেন, “সভাপতি হওয়ার জন্যই ওরা আমার উপরে হামলা চালাল। পুত্রবধূকে হেনস্থা করল।” |
|
|
|
|
|