পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগে রবিবার দুপুরে হাওড়ার মৌড়িগ্রাম থেকে ধৃত ৮ মহিলাকে সাঁকরাইল থানায় বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে ওই ৮ মহিলাকে হাওড়া আদালতে হাজির করানো হলে সেখানেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্তারা।
হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, “খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য দুই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে। বাকিদের শরীরের নানা জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
বহিষ্কৃত এবং ‘ঘরছাড়া’ এক তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজনকে ঘরে ফেরানোকে ঘিরে রবিবার মৌড়িগ্রামে গণ্ডগোল হয়। ওই পরিবারের ঘরে ঢোকা আটকাতে তৃণমূলের একাংশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ পুলিশের উপরে ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ। ১ পুলিশকর্মী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ৮ মহিলা-সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের সাঁকরাইল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
হাওড়া কোর্ট লক আপের সামনে অসুস্থ এক মহিলা। —নিজস্ব চিত্র
সোমবার হাওড়া আদালতের বিচারক ধৃতদের ২৬ জুন পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। কোর্ট লক-আপের মধ্যেই আচমকা দুই মহিলা বমি করতে শুরু করেন। বাকি ৬ জনও অসুস্থ বোধ করেন। জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলাদের অভিযোগ, থানায় নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হয়। অনিন্দিতা বসু নামে এক মহিলা দাবি করেন, “আমার পেটে লাথি মারে পুলিশ। অন্যদেরও মারধরও করা হয়। আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়ার পরেও পুলিশ প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চায়নি। পরে হাসপাতালে ভর্তি করায়।”
পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “রবিবার থানায় নিয়ে গিয়ে ওই মহিলাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। সোমবারও আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে ডাক্তারি-পরীক্ষা হয়। মারধর করা হলে ওই পরীক্ষাতেই তো তা ধরা পড়ত! তখন কারও কোনও অসুস্থতা ধরা পড়েনি। এখন ওঁরা জেল কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছেন। তাঁরাই বিষয়টি দেখবেন।”
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.