নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
জলের সমস্যা হবে। তাঁরা এই আশঙ্কাটা করেছিলেন অনেক আগেই। গত কয়েক দিনের তীব্র দাবদাহের মধ্যে জলের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বোলপুর পুর-এলাকার বাসিন্দারা। এখনও সেই সমস্যা মেটেনি। ভরা গ্রীষ্মে দু’তিনদিন ধরে জলের অভাবে নাকাল পুরবাসীদের একাংশ। অবিলম্বে বিকল্প ব্যবস্থা করে জলসঙ্কট থেকে মুক্তির আর্জি জানিয়েছেন খোদ ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের একাংশ। সব মিলিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই সমস্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের।
তৃণমূল পরিচালিত বোলপুর পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে জলসঙ্কট তীব্র আকার নিচ্ছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙালিকালীতলা, বিহারিলাল দত্ত লেনের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, প্রতিদিন তিন বার করে বিভিন্ন সময়ে জল সরবরাহ করা হলেও তাঁরা জল পান না। শৈলেন মিশ্র, বেলা কুণ্ডু, প্রদ্যোৎ দে, পুষ্পা সাউদের অভিযোগ, “গত এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় ধরে জলসঙ্কট চরমে পৌঁছেছে। একাধিক বার কাউন্সিলরকে জানিয়েও লাভ হয়নি।” ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, তৃণমূলের দেবাশিস বীরবংশী জল সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “সমস্যার কথা পুরসভায় ও মহকুমাশাসককে জানানো হয়েছে।” বোলপুর মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বলেন, “বাসিন্দা ও কাউন্সিলররা লিখিত ভাবে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
পাইপ ফেটে এ ভাবে হচ্ছে জলের অপচয়। নিজস্ব চিত্র। |
বোলপুর পুরসভা-সহ আশপাশের কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকায় ইন্দো জার্মান জল প্রকল্পের মাধ্যমে জল সরবরাহ করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিহারিলাল দত্ত লেনের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, অশোক দে, স্বপন সরকার, বাবু পুরোহিতরা বলেন, “তিন বার জল এলেও স্যালাইনের মতো জল পড়ে। এক বালতি ভর্তি হতে না হতেই জল চলে যায়। পানীয় জলের এমন দূরাবস্থার কথা লিখিত ভাবে পুরসভায় জানানো হলেও কারও হেলদোল নেই।” ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভূবনডাঙা নমিতা ঘোষ, গৃহবধূ পাপিয়া দেবী, বিশ্বভারতীর ছাত্রী জয়শ্রী ঘোষের অভিযোগ, “এমনিতে জলকষ্ট লেগেই থাকে। কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানের সময়ে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।” পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত ও উপপুরপ্রধান নরেশচন্দ্র বাউরি বলেন, “পুরসভা এলাকায় বাসিন্দাদের জলকষ্ট নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বিকল্প জলের উৎস নিয়ে আলোচনা চলছে।” রাজ্যের পরিকল্পনা ও রূপায়ণ মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গাড়ি করে পুরসভাকে জল সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।”
|