টুকরো খবর
হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৪
সিপিএমের বোলপুর জোনাল কমিটির এক সদস্য ও নাহিনার শাখা সম্পাদককে বাড়ির ভেতর ঢুকে মারধর করার অভিযোগে রবিবার চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতেরা হলেন নাহিনা গ্রামের আবদুর রহমান, সেলিম শেখ, নানুরের উৎপল সাহা এবং পাপুডির আনারুল শেখ। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে মারধর করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কয়েকজনের খোঁজ চলছে।” সোমবার বোলপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থানার নাহিনা গ্রামে শনিবার গভীর রাতে সিপিএমের বোলপুর জোনাল কমিটির সদস্য আতাউর রহমান ও নাহিনার শাখা সম্পাদক ফজু শেখের বাড়িতে কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। সিপিএমের অভিযোগ ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই যুক্ত। তাঁদের আরও অভিযোগ, লাঠি, রড, টাঙ্গি নিয়ে ওই দু’জনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মারধর করা হয় জোনাল কমিটির সদস্য-সহ তাঁর পরিবারের লোকজনদের। সেখানে হামলা চালানোর পর ওই দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় শাখা সম্পাদক ফজু শেখের বাড়িতেও। আহত আতাউর রহমান ও ফজু শেখকে সঙ্কটজনক অবস্থায় প্রথমে বোলপুর সহকুমা হাসপাতালে ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সমীর ভট্টাচার্য-এর অভিযোগ, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিত ভাবে ওই দুই নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।” তৃণমূলের বোলপুর শহর সভাপতি সুদীপ্ত ঘোষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

‘অবৈধ’ নির্মাণ, ধৃত দুই ভাই
আদালতের জারি করা ১৪৪ ধারা অমান্য করে বেআইনি ভাবে সাঁইথিয়ার মাঠপলশায় একটি জমিতে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগে পুলিশ রবিবার দুই ভাইকে গ্রেফতার করল। ধৃতেরা হলেন শেখ নুরুল ও শেখ রমজান। বাড়ি মাঠপলশাতেই। সোমবার সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। অভিযুক্তদের আর এক ভাই ইব্রাহিম খলিলের অবশ্য দাবি, “আমরা ১৪৪ ধারা জারির কোনও নোটিস পাইনি। অন্যায় ভাবে দাদাদের ধরা হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঠপলশা হাইস্কুল সংলগ্ন হরিশকোপা মৌজার ১২৮৩ দাগের উপর ১৪৪ ধারা জারি আছে। ওই জায়গাটি মাঠপলশা হাইস্কুলের সম্পত্তি বলে দাবি করে পরিচালন সমিতির সম্পাদক বাসুদেব রায় বলেন, “স্কুলের জায়গার উপর অবৈধ ভাবে নির্মাণ কাজ হচ্ছিল। এই মর্মে গত ৬ জুন স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আবুল কালাম সিউড়ি আদালতে ওই নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে ওই জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারির আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।” ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও ওই জায়গায় নির্মাণ কাজ করার অভিযোগে পুলিশ ওই দুই ভাইকে গ্রেফতার করে। যদিও ইব্রাহিমবাবুর দাবি, “আমার দাদু ১২৮৩ দাগ থেকে ১৫ শতক জায়গা ওই স্কুলকে দান করেছিলেন। কিন্তু যে জায়গায় নির্মাণ কাজ হচ্ছিল তা ওই ১৫ শতক জায়গার বাইরের অংশ।”

পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু তিন জনের
মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে, সিউড়ির মিনি স্টিলের কাছে দুর্ঘটনায় সোমবার ভোরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও মৃতদের পরিচয় উদ্ধার হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মাছ ভর্তি একটি ছোট গাড়ি পেছন থেকে এসে একটি ট্রাককে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছোট গাড়িটির চালক ও খালাসির। পুলিশ দু’টি গাড়িকেই আটক করেছে। তবে ট্রাকের চালক ও খালাসি পলাতক। অন্য দিকে, বাসের পিছনের গেট থেকে পড়ে মৃত্যু হল সুমন দে (২৪) নামে এক যুবকের। বাড়ি মুরারই থানার ডুরিয়া গ্রামে। রবিবার বিকেলে মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ জাতীয় সড়কে, নলহাটি থানার পালোয়ান পীরতলার কাছে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। উদ্ধার করে তাঁকে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। সেখানেই দেহটির ময়না-তদন্ত হয়।

মুরারইয়ে জলসঙ্কট
জলস্তর নেমে যাওয়ায় মুরারই পঞ্চায়েতের মুরারই-সহ পানিয়াড়া, ঘুসকিড়া, কেস্তেরা গ্রামগুলিতে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অসুবিধায় পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। মুরারই পঞ্চায়েতের প্রধান, কংগ্রেসের কিশোর পিপাড়া বলেন, “জলের সঙ্কট থাকায় ওই এলাকাগুলিতে গত দেড় মাস ধরে পাম্পের মাধ্যমে জল দেওয়া হচ্ছে। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ওই এলাকাগুলিতে নতুন করে নলকূপ সংস্কারের কাজও ব্যাহত হচ্ছে।” এলাকায় নতুন করে গভীর নলকূপ বসানোর জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোও হয়েছে বলে তাঁর দাবি।

সেচনালা পাকা করার দাবি
খয়রাশোলের নাকড়াকোন্দা গ্রামের পশ্চিমপুকুরে যাতে বৃষ্টির জল ধরে রেখে সেচের কাজে ব্যবহার করা যায় সে জন্য বছর চারেক আগে শুঁড়ি পুকুরে পাশের মাঠ থেকে পশ্চিমপুকুর পর্যন্ত সেচ নালা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমুমানিক ৫০০ ফুটের ওই সেচ নালাটি কাঁচা হওয়ায় ইতিমধ্যেই মাটি জমে মজে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেচ নালাটিকে অবশ্যই পাকা করতে হবে নতুবা সেচের উদ্দেশ্য তো পূরণ হবেই না। উল্টে বর্ষাকালে ওই সেচনালার পাশে থাকা রাস্তাটিতে জল জমে চলাচলের অযোগ্য হবে। নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি মণ্ডল বলেন, “এটা সত্যি যে ওই সেচ নালাটি পাকা করার প্রয়োজন। কিন্তু এ কাজ করতে কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। যেটা এই মুহূর্তে পঞ্চায়েতের হাতে নেই। একশো দিনের প্রকল্পের অধীনে যখন নির্মাণ কাজ চলবে তখনই সেটা করানো সম্ভব”।

নলকূপ বেহাল
দু’দুটি নলকূপ অকেজো হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। ওই নলকূপগুলির পরিবর্তে অন্য নলকূপ না দেওয়ায় চরম জলকষ্টে ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। অথচ স্থানীয় পঞ্চায়েত এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ খয়রাশোলের নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েতের ভাদুলিয়া গ্রামের দাসপাড়া ও মালপাড়ার বাসিন্দাদের। পঞ্চায়েতে প্রধান দীপ্তি মণ্ডল বলেন, “ভাদুলিয়ার দাসপাড়ার নলকূপটি বরাদ্দ হয়েছে। শীঘ্রই দরপত্র ডেকে কাজটি করানো হবে। মালপাড়ায় যে নলকূপ অকেজো হয়ে রয়েছে, তা পঞ্চায়েত সমিতিকে জানানো হয়েছে। কারণ পঞ্চায়েত সমিতি নলকূপ বসিয়ে থাকে। তবে জলকষ্ট এড়াতে এলাকার কুয়োগুতিকে সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে।”

কৃতীদের সংবর্ধনা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতীদের সংবর্ধনা দিল ইলামবাজার আলাপী সঙ্ঘ। মেধা সম্মান ২০১২ নামে ওই অনুষ্ঠানটি হয়ে গেল রবিবার ইলামবাজারের একটি বেসরকারি হলে। পাশাপাশি ব্লকের ১৬টি স্কুলের দুঃস্থ মেধাবীদেরও সংবর্ধনা দেওয়া হয় ওই অনুষ্ঠানে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে আবদুল খালেক মল্লিক জানান, অনুষ্ঠানে ব্লকের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুদর্শন ভট্টাচার্য প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন, “দুঃস্থ মেধাবী আজমিরা খাতুনের পড়াশোনার সমস্ত খরচ সরকার বহন করবে।”

উঠল কর্মবিরতি
টানা ১২ দিন কর্মবিরতির পর সোমবার স্বাভাবিক হল বোলপুর আদালতের কাজকর্ম। বিভিন্ন দাবিতে বোলপুর আদালতের ল’ ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশন গত ৬ জুন থেকে দু’দফায় টানা কর্মবিরতি পালন করছিল। বোলপুর বার অ্যাসোসিয়েশনও ওই দাবিগুলিকে সমর্থন জানিয়ে রবিবার পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছিল। বোলপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তপনকুমার দে ও সভাপতি দেবকুমার দত্ত বলেন, “কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার থেকে আদালতে সমস্ত কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়েছে।”

দুর্নীতির নালিশ
১০০ দিনের প্রকল্পে পঞ্চায়েত সদস্য ও কাজের সুপার ভাইজার নিজেদের মতো করে শ্রমিকদের মজুরি দিচ্ছেন। জব কার্ড নিজের কাছে রেখে শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করছেন। গ্রামবাসীদের একাংশ এই সব নানা অভিযোগ তুলেছেন নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের বৈধড়া সংসদের সিপিএম সদস্য রঘুনাথ সাউ বিরুদ্ধে। রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও আব্দুল মান্নানের কাছে তাঁরা স্মারকলিপি দেন। বিডিও বলেন, “জবকার্ড রাখার দায়িত্ব শ্রমিকদের। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে খোঁজ নেব। বাকি অভিযোগগুলি তদন্ত করে দেখা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.