নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
হিন্দি মাধ্যম স্কুল থেকে মাধ্যমিক উত্তীর্ণেরা আসন কম থাকায় নিজের স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। এই অভিযোগে দুর্গাপুরের বেনাচিতির নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল ভর্তি হতে না পারা পড়ুয়ারা। শহরের অন্য দু’টি হিন্দি মাধ্যম স্কুল নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুল ও বেনাচিতির ভারতী হিন্দি হাই স্কুলের ছবিটাও প্রায় একই রকম। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১৯ জন পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির সুযোগ পায়নি বলে জানা গিয়েছে।
দুর্গাপুরের তিনটি হিন্দি মাধ্যম স্কুল থেকে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১০১৯ জন। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকের মোট আসন সংখ্যা সর্বোচ্চ ৯০০। যার অর্থ, ১১৯ জন এখনও ভর্তি হতে পারেনি। নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বার মাধ্যমিকে উত্তীর্ণের সংখ্যা ৪৮৭। সমস্যা হল, ওই স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে আসন সংখ্যা ২৭৫। নিয়ম অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে স্কুলের ১০ শতাংশ আসন বাড়ানোর এক্তিয়ার রয়েছে। তা বাড়িয়ে দেওয়ার পরেও এই স্কুল থেকে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ প্রায় ১৮৭ জন উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির সুযোগ পায়নি। প্রতিবাদে এ দিন পড়ুয়ারা স্কুলের অধ্যক্ষ সুধীরকুমার সুমনের অফিসে ঢুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে। তেমনই দু’জন গণেশ সাউ, অরুণ সিংহদের কথায়, “এত বছর ধরে বাড়ির কাছে এই স্কুলে পড়ছি। এখন যদি ভর্তির সুযোগ না পাই তাহলে দূরে কোথাও যেতে হবে। সেক্ষেত্রে পড়াশোনা চালানোই সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।” কয়েক জন অভিভাবক ওমপ্রকাশ সাউ, বিনোদ পান্ডেরা বলেন, “বহু কষ্টে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাই। এখন অন্য স্কুলে যেতে হলে যাতায়াতের খরচ যোগাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ব।”
নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্যা যে হতে পারে, তা মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিন আঁচ করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের তা জানিয়েও দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা চাইলেই ইচ্ছেমতো আসন বাড়ানো যায় না। সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ আসন বাড়ানো যায়। সে ভাবেই তাঁরা এগিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও বেশ কিছু পড়ুয়া রয়ে গিয়েছেন। স্কুলের অধ্যক্ষ সুধীরবাবু বলেন, “এটা ভেবে খারাপ লাগছে যে আমাদের স্কুলের পড়ুয়াদের উচ্চমাধ্যমিকে জায়গা পেতে অন্য স্কুলে ছুটতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা নিরুপায়।” সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ। |