জলপাইগুড়ি শহরের এক বাসিন্দার রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। জ্বর, মাথাব্যাথা নিয়ে গত সপ্তাহে জলপাইগুড়ির রাজবাড়িপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন শহরের নিবেদিতা পাড়ার বাসিন্দা সৈকত ভৌমিক। রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। গত সপ্তাহে রোগীর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয় বলে নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অন্যত্র স্থানান্তর সম্ভব হবে না বলে জলপাইগুড়িতে রেখেই তাঁর বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার নার্সিংহোম তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, রোগীর পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। চিকিৎসক সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ড রোগীর চিকিৎসা করছেন। রোগীর রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়ায় বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতরেও জানানো হয়েছে। নার্সিংহোমের কর্ণধার কুমার সরকার বলেন, “১৯ মে ওই রোগী নর্সিংহোমে ভর্তি হয়। জ্বর অত্যন্ত বেশি ছিল। তাঁর রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া যায়। সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফের নমুনার ডেঙ্গির পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পরে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে ঘটনাটি জানানো হয়। চিকিতৎসার জন্য বিশেষ বোর্ড গঠন করা হয়। বর্তমানে রোগী নার্সিংহোমেই চিকিৎসাধীন। তাঁর পরিস্থিতি স্থিতিশীল।” নার্সিংহোমে ভর্তি রোগীর রক্তের নমুনা রিপোর্ট পরীক্ষা করে সরকারি ভাবেও ডেঙ্গির জীবানু পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এ টিম রাজবাড়ি পাড়ার নার্সিংহোমে পরিদর্শন করেছেন। রোগীর বাড়িতেও সরকারি প্রতিনিধি দল গিয়েছেন। রোগীর বাড়ির আত্মীয়স্বজনের রক্তের নমুনাও পরীক্ষা করেছেন সরকারি দল। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, “ডেঙ্গির জীবানু মিলেছে। সরকারি দলকে রোগীর বাড়িতে পরিদর্শনে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।” ওই পরিবার সূত্রের খবর, সম্প্রতি কলকাতায় থেকে ফেরার পরেই সৈকত জ্বরে ভুগতে শুরু করেন। জ্বর বেড়ে যাওয়াতে তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় ডেঙ্গির জীবানু পাওয়ার পরে আরও বেশ কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে কতজন জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন তারও পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দাদের সংখ্যা বেশি হলে বিষয়টি জলপাইগুড়ি পুরসভা ও প্রশাসনকেও জানানো হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। |