কলকাতা হাইকোর্ট আগেই তাঁর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে ফেরার অভিযুক্ত ডিরেক্টর প্রীতি সুরেখা উচ্চ আদালতের নির্দেশেই মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন।
গা-ঢাকা দেওয়া অবস্থাতেই প্রীতিদেবী আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে নিম্ন আদালতে অর্থাৎ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টই। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রীতিদেবীকে নিয়ে তাঁর আইনজীবী সেলিম রহমান এ দিন আদালতে হাজির হন। হাইকোর্ট যে ওই অভিযুক্তের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে, আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সুপর্ণা রায়কে সেই আদেশ দেখান আইনজীবী। আদালত জামিনে মুক্তি দিয়ে অভিযুক্তকে ৩০ মে অর্থাৎ আজ, বুধবার আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আগেকার নির্দেশ অনুসারে এই মামলায় জামিনে মুক্ত বাকি ১৩ জন অভিযুক্তকেও আজ আদালতে হাজির হতে হবে। এই মামলায় অভিযুক্ত দুই আমরি-কর্তা এখনও ফেরার রয়েছেন। পুলিশ এই মামলায় মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে আদালতে। গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। সেই ঘটনায় ওই হাসপাতালের ১৩ জন শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি গ্রেফতার হন এবং পরে জামিনও পান। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পরেই তিন ডিরেক্টর প্রীতি সুরেখা, আদিত্যবর্ধন অগ্রবাল ও রাহুল তোদি গা-ঢাকা দেন। ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েও তাঁদের খোঁজ পায়নি কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। তার পরে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয় আদালত। পরে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। জারি করা হয় ‘লুক-আউট’ নোটিসও। তবে পরবর্তী কালে জেলা ও দায়রা জজ আদালত তার রূপায়ণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়।
প্রীতিদেবী-সহ তিন ফেরার অভিযুক্তের তরফে আগাম জামিন চেয়ে জেলা ও দায়রা জজের আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। তার পরে ওই তিন ফেরার অভিযুক্তের মধ্যে একমাত্র প্রীতিদেবীর তরফেই হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করা হয়। পরবর্তী কালে অবশ্য অন্য দুই ফেরার অভিযুক্তের তরফেও হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান আইনজীবী সেলিম রহমান। |