এক মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মঙ্গলবার বরাহনগরের একটি হাসপাতালের এক আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সুরেশ সিংহ চৌহান। তিনি বরাহনগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভিস্যুয়ালি হ্যান্ডিক্যাপড (এনআইওএইচ)-এর অফিসার ইনচার্জ। অভিযোগ, এ দিন দুপুরে তিনি অধস্তন এক কর্মীকে চিনির শরবত পাঠাতে বলেন। কেননা তাঁর শরীর খারাপ লাগছিল। হাসপাতালের এক মহিলা কর্মী শরবত দিতে ওই অফিসারের চেম্বারে যান। তখনই তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলা কোনও মতে ওই অফিসারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে অন্য কর্মীদের সব জানান। বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে চৌহানকে গ্রেফতার করা হয়। কর্মীদের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করে তিনি মুচলেকাও দেন বলে পুলিশি সূত্রের খবর। কর্মীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের একাংশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই নিয়ে কর্মীদের ভয় দেখানো হয় এবং থানায় অভিযোগ জানিয়ে ফেরার পথে তাঁদের উপরে হামলাও হয় বলে অভিযোগ।
|
নিম্ন মানের ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ আছে হুগলি জেলার সিপিএম নেতা অসিত পাত্রের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগে ধৃত অসিতবাবুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন। সরকারি আইনজীবী বিনায়ক পণ্ডা বলেন, “বছরের পর বছর অভিযুক্ত ব্যক্তি ওষুধ-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ভিজিল্যান্স তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে একই রিপোর্ট দিয়েছে। তিনি জামিন পেলে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দেবেন।” উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। ওষুধ-দুর্নীতির অভিযোগে ১৭ এপ্রিল অসিতবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এখন তিনি জেল-হাজতে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিম্ন মানের ওষুধ বেচতেন। দামে ফারাক থাকত না। পুলিশি সূত্রের খবর, লক্ষ লক্ষ টাকার ওষুধ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় সিপিএম অসিতবাবুকে হুগলির জেলা সভাধিপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়। তাঁর ডানা ছাঁটা হয় সাংগঠনিক দিক থেকেও।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সুনির্দিষ্ট বেতন চালু, সরকারি স্বাস্থ্য-কর্মীর মর্যাদা, প্রতিটি ব্লক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার-সহ উন্নত পরিষেবা চালু করার মতো বেশ কিছু দাবিতে মঙ্গলবার জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য-স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় পশ্চিমবঙ্গ আশা-কর্মী ইউনিয়ন। নেতৃত্ব দেন ইউনিয়নের জেলা সভাপতি নারায়ণ অধিকারী। মঙ্গলবার সকালে মিছিল করে আশাকর্মীরা কালেক্টরেট মোড়ে পৌঁছন। মূল-গেটের সামনেই বিক্ষোভ চলে। রাস্তা অবরুদ্ধ হয়। পরে মিছিল পৌঁছয় মুখ্য-স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সামনে। ব্লক থেকে জেলা হাসপাতাল, সমস্ত ক্ষেত্রে ‘আশাভবন’ তৈরি, সমস্ত আশা-কর্মীর উন্নত প্রশিক্ষণের দাবি জানিয়েছে ইউনিয়ন। কর্তৃপক্ষ দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেন। |