প্রয়োজনে অফিসে রাত্রিবাস
কাল বন্ধে কাজে না-এলে ছুটি নয়, ফের কঠোর মমতা
ফেব্রুয়ারির শিল্প ধর্মঘটের মতো কাল, বৃহস্পতিবারের প্রস্তাবিত ভারত বন্ধের দিনেও হাজিরার ব্যাপারে কঠোর মনোভাব নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ৩১ মে এনডিএ-র ডাকা ওই বন্ধে রাজ্য সরকারি কর্মীরা অফিসে না-এলে কোনও ‘ছুটি’ মঞ্জুর করা হবে না। মঙ্গলবার মুখ্যসচিব সমর ঘোষের স্বাক্ষরিত নির্দেশ জারি করে রাজ্য সরকার এ কথা জানিয়ে দিয়েছে।
তিন মাস আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী গণ-সংগঠনগুলির ডাকা দেশব্যাপী শিল্প ধর্মঘটের দিনেও একই নির্দেশ জারি করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন সরকার। সে-দিন যে-সব কর্মী অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের না-আসার কারণ জানতে চেয়ে প্রথমে ‘শো-কজ’ করা হয়। তাঁদের মধ্যে যাঁরা ‘উপযুক্ত কারণ’ দেখাতে পারেননি, তাঁদের এক দিনের বেতন কেটে নেয় সরকার। এ বারের বন্ধেও হাজিরার ক্ষেত্রে তারা সেই পথেই হাঁটবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার।
পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ বার বন্ধ ডেকেছে এনডিএ। মমতাও জ্বালানির দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি বন্ধ-ধর্মঘটেরও বিরোধী। ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তিনি বন্ধ-অবরোধের রাজনীতির বিরুদ্ধে। এমনকী সরকারি কর্মীদের ধর্মঘটের অধিকারও মানতে নারাজ নতুন সরকার। ঘটনা হল, ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই রাজ্যে কোনও বন্ধ ডাকেনি মুখ্যমন্ত্রীর দল তৃণমূল কংগ্রেস। সে-দিক থেকে বন্ধের দিন সরকারি কর্মীদের ছুটি নামঞ্জুর করা অথবা গরহাজির থাকলে বেতন কেটে নেওয়া (এতে চাকরি জীবনেও এক দিন ছেদ পড়ে)-র ব্যাপারটা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করে প্রশাসন।
সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বন্ধের দিন জোর করে অফিস, শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ করলে কিংবা অন্য কোনও ভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হলে সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে। নির্দেশে সরকারি অফিসকাছারি খোলা থাকার কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, ওই দিন কর্মচারীদের কোনও ধরনের ছুটিই মঞ্জুর করা হবে না।
সরকারি নির্দেশ মেনে ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজে যোগ দেওয়ার জন্য আগের রাতে কয়েকটি সরকারি কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে মহাকরণ-সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কাজে যোগ দিতে প্রয়োজনে এ বারেও রাতে দফতরে থাকার অনুমতি নিতে হতে পারে বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত ফেডারেশন অফ সেক্রেটারিয়েট এমপ্লয়িজ। সংগঠনের নেতা সঞ্জীব পাল বলেন, “যারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, এ রাজ্যে তাদের তেমন কোনও সংগঠন নেই। তাই ওই দিন প্রশাসন সচল থাকবে। অফিসে আসতে অসুবিধে হবে না। তবু বুধবার পরিস্থিতি দেখে নিয়ে প্রয়োজনে আগের রাতে অফিসে থাকার অনুমতি চাইব।” ৩১ তারিখের বন্ধে কাজে যোগ দেবে সিপিএম প্রভাবিত কর্মী সংগঠন কো-অর্ডিনেশনও। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে। কিন্তু ওই দিনের বন্ধ সমর্থন করি না। তাই সরকারি নির্দেশ মেনে আমরা কাজে যোগ দেব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.