|
|
|
|
ভাল ফল হবে জানত ময়ূখ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আর পাঁচ জন কৃতী ছাত্রের মতো ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং নয়, ভবিষ্যতে পদার্থবিদ্যা নিয়েই পড়তে চায় বেলদার ময়ূখ মল্লিক। এ বারের মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭০। পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম সেরা। ভাল ফল হবে জানত, তবে এতটা ভাল আশা করেনি সে। ময়ূখের কথায়, “মন দিয়ে পড়াশোনা করলে যে কেউ ভাল ফল করতে পারে। সে ভাবে নিয়ম করে পড়তে বসিনি। তবে পড়ার সময় পড়েছি।”
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টায় মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পর থেকেই বেলদা বাসস্ট্যান্ডের কাছে মল্লিক বাড়িতে পরিচিত-পরিজনদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যায়। বাবা মনোতোষ মল্লিক বিমা কোম্পানির এজেন্ট। মা রোজদেবী গৃহবধূ। বোন শ্রেয়া পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট থেকেই মেধাবী ময়ূখ। প্রাথমিকের পড়াশোনা শুরু রামকৃষ্ণ স্কুলে। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সে পড়েছে বেলদার লায়ন্স স্কুলে। এরপর বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমিতে। মাধ্যমিকের টেস্টে তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৬০। প্রিয় বিষয় অঙ্ক আর পদার্থবিদ্যা। দু’টি বিষয়েই ১০০-তে ১০০ পেয়েছে বেলদার এই কৃতী ছাত্র। অবসরে বই পড়ে। গান শোনে। ময়ূখ বলে, “সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা বই পড়তে ভাল লাগে। মাঝেমধ্যে গান শুনি। রবীন্দ্রসঙ্গীতই প্রথম পছন্দ।” আইপিএল- এ কলকাতা নাইট রাইডার্সকে সমর্থন করেছিল। চেয়েছিল, নাইট-বাহিনী চ্যাম্পিয়ন হোক। সেখানেও স্বপ্নপূরণ হয়েছে ময়ূখের। তার কথায়, “ফাইনালের দিন একটু টেনশনে ছিলাম। একটা সময় মনে হয়েছিল, ম্যাচটা কলকাতা হেরে যাবে। তবে বিসলার ঝোড়ো ব্যাটিং ম্যাচটা ঘুরিয়ে দিল।” নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে পড়তে চায় ময়ূখ। তারপর পদার্থবিদ্যায় গবেষণা করতে চায়। ইচ্ছে রয়েছে শিক্ষক হওয়ার। ময়ূখের সাফল্যে খুশি তার পরিজনেরা। বাবা মনোতোষবাবু বলছিলেন, “ও নিজের সামর্থেই এই ফল করেছে।” বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমির প্রধান শিক্ষক ননীগোপাল শীট বলেন, “৩২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। এমন বিনয়ী ছাত্র খুব কমই দেখেছি। শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করে। বড়দের সম্মান দেয়। ভাল আবৃত্তি করে। ওর ভবিষ্যৎ জীবন আরও ভাল হবে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা থাকল।”
|
নিজস্ব চিত্র। |
|
|
|
|
|