|
|
|
|
ধর্ষণে পরীক্ষায় দেরি, লিখিত জবাব তলব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
ধর্ষিত নাবালিকার মেডিক্যাল-টেস্টে দেরির অভিযোগে আদালতে তলব করার পর ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের সুপার এবং এক মেডিক্যাল অফিসারকে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত ভাবেও কারণ দর্শাতে বললেন এসিজেএম। গত ২২ মে রামজীবনপুর পুর-শহর সংলগ্ন বনপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে আম দেওয়ার নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী এক যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ দায়ের হয় অনেক পরে, গত ২৬ মে। আর রবিবার, ২৭ মে ওই কিশোরীকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য আনা হয় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু ছুটির দিন হওয়ায় এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না-থাকায় পরের দিন ওই টেস্টের জন্য ওই কিশোরীকে নিয়ে আসার কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে সে দিনই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এসিজেএম। গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবহেলা হয়েছে বিবেচনা করে হাসপাতালের সুপার ও মেডিক্যাল অফিসারকে মঙ্গলবার আদালতে তলব করেন বিচারক।
তাঁরা এ দিন আদালতে উপস্থিত হয়ে ছুটির দিন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না-থাকার কথাই জানান। তবে এসিজেএম তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব পেশ করতে বলেছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য-বিভাগের এক কর্তার অবশ্য বক্তব্য, ধর্ষণের ৬ দিনের মাথায় হাসপাতালে হাজির করে মেডিক্যাল-টেস্টে কতটা কী ধরা পড়ত, সেটা সংশয়ের। তবে সম্ভবপর সব ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতাল এ জাতীয় পরীক্ষায় তৎক্ষণাৎই ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু রবিবার ছুটির দিনে এমনিতেই চিকিৎসক কম থাকেন। আবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পক্ষেই একমাত্র এ ধরনের মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষা করা সম্ভব এবং সেটাই শ্রেয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবেই এক দিন পরে মহকুমা হাসপাতালে পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল বলে স্বাস্থ্য-বিভাগের ধারণা। তবে বিষয়টি নিয়ে তারা খোঁজ নিচ্ছে। |
|
|
|
|
|