|
|
|
|
পুরসভা ও দলের তরফে শেষ শ্রদ্ধা দেবী চক্রবর্তীকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর পুরসভা ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে পথ-দুর্ঘটনায় মৃত কাউন্সিলর দেবী চক্রবর্তীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল মঙ্গলবার। শোভাযাত্রা করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পদ্মাবতী শ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর থেকে ফেরার পথে গড়বেতার লেদাপোলের জঙ্গলে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মেদিনীপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবী চক্রবর্তীর। মারা যান তাঁর বৌমা ও দেড় বছরের নাতি। গুরুতর জখম হন ছেলে। দুর্ঘটনার কথা জানার পর থেকেই হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন তৃণমূল ও কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ২ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখান থেকে বরিশাল কলোনির বাড়িতে। সেখানে বিভিন্ন স্কুল, ক্লাব, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। পরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কার্যালয় ও পুরসভায় মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায়, কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, জেলা যুব-তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী, মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রণব বসু থেকে শুরু করে বিভিন্ন-স্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক, কাউন্সিলরেরা মাল্যদান করেন। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
দীনেন রায় বলেন, “দেবী আমাদের সুশৃঙ্খল নেত্রী ছিলেন। দলের অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে দিতেন। তাঁর মৃত্যুতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হল।” পুরপ্রধান প্রণব বসুরও বক্তব্য, “নিয়ম মেনে প্রতিটি কাজ সময়ে শেষ করতেন দেবী। তিন বারের কাউন্সিলর হিসাবে প্রতিটি কাজেই দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। তাঁর অকাল প্রয়াণে পুরসভাও ক্ষতিগ্রস্ত হল।” দেবীদেবীর ছেলে নির্মাল্য গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এই আঘাতে ভেঙে পড়েছেন দেবী চক্রবর্তীর স্বামী নন্দদুলাল চক্রবর্তী। নন্দদুলালবাবু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজেও অসুস্থ। |
|
|
|
|
|