কয়লা খনি বণ্টন নিয়ে অণ্ণা শিবির তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ এনেছে তা পুরোপুরি উড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। জানালেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতিই ছেড়ে দেবেন এবং যে কোনও শাস্তি মাথা পেতে নেবেন। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা অত্যন্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ও ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক’ বলে আখ্যা দেন মনমোহন। তবে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ নিয়ে মতভেদ তৈরি হয়েছে অণ্ণা শিবিরেই।
মায়ানমার সফর সেরে ফেরার পথে আজ মনমোহন সাংবাদিকদের বলেন, “রাজনীতিক হিসেবে আমি এক সময়ে দেশের অর্থমন্ত্রী ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করছি। আমার রাজনৈতিক জীবন খোলা পাতার মতো।” ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ অ্যাখ্যা সম্পর্কে মনমোহন বলেন, “এর পর দেশের মানুষকেই ঠিক করতে হবে যে তাঁদের প্রধানমন্ত্রী কী এমন করেছেন, যার জন্য তাঁকে এ কথা বলা যায়!”
গত শনিবার সিএজি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রণব মুখোপাধ্যায়-সহ মন্ত্রিসভার ১৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে খনি-বণ্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন টিম-অণ্ণার সদস্য প্রশান্ত ভূষণ ও শান্তি ভূষণ। গত কালও প্রশান্ত ভূষণ বলেন,“মনমোহনকে ‘শিখণ্ডী’ দাঁড় করিয়ে আড়ালে লুকিয়ে রয়েছেন দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা।” সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে এ ভাবে আক্রমণ করা নিয়ে অবশ্য অণ্ণা শিবিরেই বিভাজন স্পষ্ট। অণ্ণা ঘনিষ্ঠ সন্তোষ হেগড়ে এই আক্রমণ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাইছেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই বেঙ্গালুরুতে হেগড়ে বলেন, এ ভাবে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী-সহ অন্য মন্ত্রীদের আক্রমণ করাটা তিনি সমর্থন করেন না। গত শনিবার ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ মন্ত্রীর নামের তালিকা প্রকাশ নিয়ে অণ্ণা নিজেও প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান। মনমোহনকে ‘সৎ লোক’ হিসেবে বর্ণনা করে অণ্ণা বলেন, কেন এ ভাবে প্রধানমন্ত্রীর গায়ে ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ তকমা সাঁটা হল তা নিয়ে তিনি তাঁর শিবিরের অন্যদের কাছে ব্যাখ্যা চাইবেন। |