এক তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নানুরে মিছিল করে তৃণমূল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে এক পড়শির বাড়ি যাচ্ছিলেন নানুরের সাওতা গ্রামের তৃণমূলের ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক শেখ সামসুল হোদা ওরফে কুলু। সেই সময় ওই গ্রামের বাসিন্দা গোপাল শেখের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন দুষ্কৃতী বোমা-বন্দুক নিয়ে সামসুলের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সামসুলের দাবি, গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হতেই দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি বোমা ছুড়তে থাকে। একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে তিনি রক্ষা পান। তাঁর দু’পায়ে বোমা লাগে। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এর আগেও ওই নেতাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল গোপাল শেখের বিরুদ্ধে। তখন গোপাল সিপিএম সমর্থক ছিল বলে তৃণমূলের দাবি। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “খুনের চেষ্টার অভিযোগে গোপাল-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। গোপালের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামসুল হোদা আগে আরএসপির জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালে নির্বাচনে বড়াসাওতা পঞ্চায়েতে বিরোধীদের সঙ্গে জোট করে সিপিএমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল শরিক দলের প্রার্থীরা। ১৬টি আসনের মধ্যে সিপিএম ১১, আরএসপি ৩, ফব ২টি পায়। আরএসপিকে উপপ্রধানের পদ দিয়ে সিপিএম বোর্ড গঠন করলেও ২০১০ সালে সামসুল, আরএসপির নানুর জোনাল কমিটির সম্পাদক শেখ সাদেক-সহ আরও অনেকে তৃণমূলে যোগ দেন।
২০১০ সালে সাকুলিপুরে খুন হন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক আনন্দ দাস। ওই বিকেলে সামসুল হোদাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে গোপাল-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের মদতে লাভপুরের কাশীয়াড়া গ্রামে গোপাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সিপিএমের নানুর জোনাল কমিটির সম্পাদক হাসিবুর রহমানের দাবি, “গোপাল আমাদের কর্মী ছিল না। আরএসপির কর্মী হিসেবে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে সামসুল হোদাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।” মনিরুল ইসলামের পাল্টা দাবি, “গোপাল বলে কাউকে চিনি না। অভিযোগ ভিত্তিহীন।” তৃণমূলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি অশোক ঘোষ অবশ্য বলেন, “সিপিএম কিংবা আমাদের দলের বিধায়ক যাঁরই মদত থাকুক না কেন, তাঁকে গ্রেফতার না করা হলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।” |