এক দিন নিখোঁজ থাকার পরে বাড়ির কাছাকাছি বন্ধ হয়ে যাওয়া চালকলের ভিতরের জঙ্গল থেকে ৬ বছরের এক শিশুর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, সাঁইথিয়ার বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা রবীন্দ্র সিংহ নামে ওই শিশুকে ‘খুন’এর তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ। রবীন্দ্রের বাবা রাজারাম সিংহ গুজরাটে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নৈশ প্রহরীর কাজ করেন। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও তিন ছেলে থাকেন। রবীন্দ্রের বড়দা রবি বলে, “সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে মুড়ি খেয়ে বাইরের দরজায় বসি। ঘণ্টাখানেক পরে খেয়াল করি ভাই কাছে নেই। খোঁজ করে না পেয়ে থানায় খবর দেওয়া হয়।” পাড়ার বাসিন্দা কার্তিক দত্ত বলেন, “মঙ্গলবার সকালে এক জন খবর দেন দীর্ঘদিন বন্ধ চালকলের চাতালে এক জোড়া চটি পড়ে আছে। চটি নিয়ে তাদের বাড়িতে দেখাতে, রবীন্দ্রের বলে তাঁরা চিনতে পারেন। তার পরে খোঁজ করলে তালগাছের গোড়ায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকা রবীন্দ্রের দেহ পাওয়া যায়।” পুলিশ জানায়, গলায় দড়ির ফাঁস ও মুখ থেঁতলানো ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবস্মিতা দাস বলেন, “ওই শিশুর মৃত্যুর ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।”
|
বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে স্বামী বিপদতারণ দাস, শ্বশুর দূর্যোধন দাস, শাশুড়ি আলপনা দাসকে তিন বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। সরকারি আইনজীবী উদয়কুমার গড়াই জানান, বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহ মঙ্গলবার এই রায় দেন। অত্যাচারে ২০০৫ সালে ২৭ জুলাই গলায় দড়ি দিয়ে ওই বধূ আত্মহত্যা করেন। |