জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার এ বার ৭০.৮৬ শতাংশ। এদের মধ্যে ছেলেদের পাশের হার ৭৮.১৪ শতাংশ ও মেয়েদের ৬৭.০৩ শতাংশ। জেলায় সর্বোচ্চ নম্বর ৬৬৫। নলহাটি এলাকার দুই ছাত্র সুব্রত মণ্ডল ও বিশ্বপ্রতাপ দাস এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলায় যুগ্ম ভাবে প্রথম হয়েছে। সুব্রত বানিওর একে হাইস্কুলের ছাত্র এবং বিশ্বপ্রতাপ নলহাটি বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের ছাত্র। মেয়েদের মধ্যে জেলায় প্রথম হয়েছে বোলপুর শৈলবালা
|
বিশ্বপ্রতাপ দাস |
|
দেবযানী দাস বিশ্বাস |
গার্লস্ স্কুলের দেবযানী দাস বিশ্বাস। তার প্রাপ্ত নম্বর
৬৫৫। তবে স্ক্রুটিনির পরে ফলের এদিক ওদিক হতে পারে।
বিশ্বপ্রতাপ বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯১, অঙ্কে ১০০, প্রকৃতি বিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯১ ও ভূগোলে ৯৭ পেয়েছে। অন্যদিকে, ৬৫৫ পাওয়া দেবযানী বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৮৩, অঙ্কে ৯৬, প্রকৃতি বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৫, ভূগোলে ৯৭ ও ইতিহাসে ৯৫ পেয়েছে। দু’জনেই তাদের স্কুলে বরাবর প্রথম হয়ে আসছে। বিশ্বপ্রতাপের পড়াশোনা। তেমন কোনও বাঁধা ধরা নিয়ম ছিল না। সে ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। পরে অধ্যাপনা করে গবেষণার কাজ করাই তার লক্ষ্য। পড়াশোনার বাইরে গল্পের বই পড়া, ছবি আঁকা, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শোনা ও ক্রিকেট দেখতে ভালবাসে। অন্যদিকে, দেবযানী বাবামায়ের একমাত্র মেয়ে। চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি একজন ভাল মানুষ হতে চাই সে। পড়াশোনার বাইরে ৬ বছর ধরে ভারত নাট্যম, ৩ বছর ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখছে দেবযানী। |
বাবা-মা’র সঙ্গে সুব্রত মণ্ডল। |
এদের মধ্যে একটু ব্যতিক্রম জেলার অন্য সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত সুব্রত। নলহাটির বানিওর গ্রামের দিন মজুর পরিবারের এই ছেলে বহু প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়াশোনা করেছে। বাবা মোহন রায় মণ্ডল পয়সা খরচ করে প্রাইভেট টিউটর রাখতে না পারলেও এগিয়ে এসেছেন এলাকার কয়েকজন শিক্ষক ও শুভানুধ্যায়ী। বন্ধুদের কাছ থেকে বই ধার করে কোনওরকমে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে সুব্রত। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখা সুব্রতর প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৫। অন্যন্য বিষয়ে সে পেয়েছে-- বাংলা ৯২, ইংরেজি ৯২, অঙ্ক ৯৮, প্রকৃতি বিজ্ঞান ৯৭, জীবন বিজ্ঞান ৯৯, ইতিহাস ৯০ ও ভূগোল ৯৭। বানিওর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিসকুমার মণ্ডল চান কোনও সহৃদয় ব্যক্তি এই কৃতী ছাত্রের সাহায্যে এগিয়ে আসুক।
|