ওভারহেড তার ছিঁড়ে যাওয়ায় রেলগেটের কাছে আটকে পড়েছিল দু’টি ট্রেন। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রাস্তা। এর জেরে ঘণ্টা দুয়েক ধরে রীতিমতো নাজেহাল হলেন দুর্গাপুরের মায়াবাজার ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। রেললাইনের দু’দিকের রাস্তায় আটকে থাকল বহু গাড়ি। এমনকী, রোগী নিয়ে থেমে থাকতে হল অ্যাম্বুল্যান্সকেও। |
মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২৩ মিনিট নাগাদ পাশাপাশি দু’টি লাইন দিয়ে যাচ্ছিল বধর্মান-আসানসোল লোকাল ও হাওড়াগামী রাজধানী এক্সপ্রেস। লোকাল ট্রেনটির প্যান্টোগ্রাফ ওভারহেড তারে আটকে যাওয়ায় তার ছিঁড়ে পড়ে। লাইনের বিদ্যুৎ চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে পাশের লাইনে থাকা রাজধানী এক্সপ্রেসও দাঁড়িয়ে যায়। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার কমলকৃষ্ণ দে বলেন, “ওভারহেড লাইনের পাখির বাসায় প্যান্টোগ্রাফ আটকে গিয়ে লাইনে শর্ট সার্কিট হয়। তার জেরেই লাইন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।” প্রথম দিকে যাত্রীরা ভেবেছিলেন সাময়িক কোনও সমস্যা হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ পরেও ট্রেন চালু না হওয়ায় বিরক্ত হয়ে উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেন তাঁরা। লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে বিকল্প যানবাহনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। রাজধানীর বি-১ কামরার মহম্মদ সাইদুল, তপন ভৌমিক বা বি-২ কামরার হেমন্ত শর্মারা বলেন, “বাড়ির কাছাকাছি এসে এ ভাবে নাকাল হতে হবে ভাবিনি।” তবে রাজধানীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র চালু থাকায় গরমে কষ্ট পেতে হয়নি তাঁদের।
তবে রেলগেটে রাস্তার উপরে দু’টি ট্রেন আটকে পড়ায় দু’পাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে শত শত যানবাহন। বন্ধ হয়ে যায় যাতায়াত। অনেক স্কুল পড়ুয়াকে বিপজ্জনক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের তলা দিয়ে সাইকেল বের করে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। পরে ট্রাফিক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। প্রয়োজনীয় মেরামতির পরে ট্রেন চলাচল শুরুর পরেও প্রায় আধ ঘণ্টা ওই রাস্তায় যানজট কাটেনি। |