চিতলমাছেরমুইঠ্যা বেসনগুলেলইট্যা
সাঁইসাঁই সাঁইথিয়া বা শুটিংয়ের ফাঁকে
ওজনদার ভোজন। খরাজ মুখোপাধ্যায়
এমনিতে বীরভূমে আমাদের দেশের বাড়ি। খুব ঘটা করে দুর্গাপুজো এবং মাঘ মাসে রটন্তী কালীপুজো হয়। পুজোর ভোগ কিংবা অন্যান্য ভোজনের জন্য আমাকেই ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ হতে হয়। আর মাটির টান আছে বলেই বেশ কয়েক বছর হল ওই বীরভূমেরই সাঁইথিয়ার কাছে একটা জমি কিনেছি। প্রায় ছুটি পেলেই শনিবার চলে যাই। রবিবার নানা রকম রান্না করে ফেলি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোটা টক। টক নয় এমন একটা পদ, শেষ পাতের জন্য। জমিতে নানান শাক-সবজি লাগিয়েছি, ওই সব দিয়েই নানা পদ করি।
রবিবারে খাওয়ার টেবিলেই আলোচনা হয় কত কিছু। সারা সপ্তাহের না বলা কথা, রাজনীতি থেকে খেলাধুলো, নতুন সিনেমা রিলিজ থেকে নতুন কোনও লেখা এ সবই ঘুরে ফিরে আসে। এ রকমই এক দিন রবিবার হতেও পারে, আমার স্ত্রী রান্নাঘরে চিতল মাছের মুইঠ্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমার ছেলে হাতে করে একটা চপের মতো মণ্ড এনে বলল, ‘বাবা গো, মা চপ বানাচ্ছে।’ ছেলে ছোটবেলা থেকে তালে তালে কথা বলে। ওই আমার মাথায় ঢুকল, টেবিলে বসেই তৈরি করে ফেললাম ‘চিতল মাছের মুইঠ্যা...’ অবাক কাণ্ড! সবচেয়ে কম সময় বানানো গানটাই খুব জনপ্রিয় হল।
লইট্যা মাছের পদ, চিতল মাছের মুইঠ্যার পাশাপাশি, কচি সজনে ডাঁটার পদ কিংবা শিমের পদ আমি অনেককে খাইয়েছি। অভিনয়টা করি ভালবেসে, পেশার তাগিদে তাই শরীরটাকে ঠিক রাখতে হয়। খুব বেশি তেল, ঝাল, মশলাদার খাবার খাই না। এমনকী মিষ্টিও এড়িয়ে চলি। অবশ্য আমার চেহারাটা দেখে তা মনে হয় না।
গ্রামের দিকে শো থাকলে কিংবা শুটিং থাকলে চেষ্টা করি রাতের মধ্যেই বাড়ি ফেরা। যদি সম্ভব না হয়, বাইরে হাল্কা খাবার খাই। আর একটা অভ্যাস আমার আছে, শনিবার রাতে বা রবিবার ভোরবেলা বাড়ি ফেরার পথে নতুন নতুন সবজি-শাক দেখলেই গাড়ি থামিয়ে কিনতে শুরু করি। বকফুল, মেথি শাক, কলমি শাক, নটে শাক, কত কী নিয়ে ফিরি রবিবারে রাঁধব বলে।
এমন কত বার হয়েছে শুটিং-এর প্রোডাকশনের অব্যবস্থায় আমাকেই চটজলদি কিছু বানিয়ে দিতে হয়েছে। এক বার এক টেলিফিল্মের শুটিং-এ গুলে আর ইলিশ মাছ রান্না করেছিলাম। সবজি দিয়ে সেই খাবার খেয়েছিলেন অনেকেই বিশ্বজিৎদা, রুদ্র (রুদ্রনীল), রণি (রজতাভ), অপু (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়)। আর এক বার পার্থসারথি দেব-এর ছবির শুটিং চলছিল বোলপুরে। পার্থদা পেঁয়াজ ইলিশ খাওয়াবেন বলে ঠিক করেন। আমি তলে তলে কুচো মাছ আনিয়ে রাখি। গাছের আমড়া ঝুলছিল। আনিয়ে নিলাম রাই রর্ষে। রাহুল ছিল নায়ক। লাঞ্চ টাইমে পার্থদার রান্না এল, একটু খেয়েই সকলে মুখ বিকৃত করছে। সুযোগ বুঝে কুচোমাছের টক, আর চিংড়িমাছের মালাইকারি পরিবেশন করলাম, খেয়ে বাঁচল সবাই। এমনকী চণ্ডীগড়ের এক হোটেলের হেঁশেলে ঢুকে বাঙালি পদ পর্যন্ত করেছি। গোটা ইউনিট বহু দিন পর ঘরের রান্না পেয়ে আপ্লুত হয়ে গেছিল। এই আনন্দের লোভেই রাঁধি, আমার রবিবার জুড়ে আছে নানান রান্নার সুস্বাদু বাছাই করা কিছু পদ।

ভাপা শিম (স্টার্টার)
শিমগুলো মাঝখান থেকে লম্বা করে চিরে রাখুন। কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে হাল্কা আঁচে বসিয়ে দিন। তেল একটু গরম হলে একে একে কাঁচালঙ্কা ও কালো জিরে ফোড়ন দিন। এর পর শিমের টুকরোগুলো তেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। আগে থেকেই সরষে-পোস্ত বেটে রাখুন। ওই বাটা সরষে-পোস্ত কড়াইতে দিয়ে দিন। ভাল করে নেড়ে আন্দাজমত নুন দিয়ে দিন। ঢাকা দিয়ে ভাপিয়ে নিন। পাতে গরম ভাত পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিবেশন করুন ভাপা শিম।

লইট্যা মাছের চপ
লইট্যা মাছ পরিষ্কার করে গরম জলে সামান্য ভাপিয়ে নিন। নামিয়ে কাঁটা ছাড়িয়ে রাখুন। মশলার জন্য কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ, রসুন বেটে নিন। প্রয়োজনে শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো দিতে পারেন। এ বার লইট্যা মাছে মশলাগুলো মাখিয়ে মণ্ড তৈরি করে নিন। আগে থেকেই আলাদা করে আলু সেদ্ধ করে রাখুন। মণ্ডের মিশ্রণে আলুসেদ্ধ ও পরিমাণমত নুন দিয়ে নিন। বেসন গুলে অল্প নুন দিন। বেসন গোলার মধ্যে মাছের মণ্ড ডুবিয়ে চপের আকারে সাজিয়ে রাখুন। কড়াইতে সাদা তেল দিন। তেল গরম হলে পুরযুক্ত মণ্ডগুলোকে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে আলাদা আলাদা করে ভাজতে থাকুন। বিকেলের জলখাবারে পরিবেশন করুন।

মোটা টক
বিশেষ কিছু সবজি দিয়ে তৈরি হয় মোটা টক। কুমড়ো, কচু, রাঙাআলু, বেগুন, টমেটো, আলু, মূলো নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে কাঁচালঙ্কা, শুকনো লঙ্কা ও সরষে ফোড়ন দিন। এর পর সবজিগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে কড়াইতে দিন। নাড়তে থাকুন। আগে থেকে সরষে ও গোলমরিচ বেটে রাখুন। বাটা মশলাটি কড়াইতে দিন। অবশ্যই চাই তেঁতুল গোলা জল। সবজি কিছুটা ভাপিয়ে নিয়ে তেঁতুল গোলা জল, কড়াই ডালের বড়ি ও পরিমাণ মতো নুন দিয়ে ঢেকে রাখুন। মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে নিন ও শেষ পাতে পরিবেশন করুন।

সাক্ষাৎকার: অরুন্ধতী মুখোপাধ্যায়
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
খাওয়াবদল: পুরনো রান্না
বাঙালির অনেক রান্না হারিয়ে যাচ্ছে। আজ খুব ইচ্ছে করছে তার দু’একটার কথা বলি। যেমন, কচি চালতা ভাজা। খুব শিগ্গিরই চালতা বাজারে আসা শুরু হবে। তখন খুব সহজেই এই রান্নাটা করতে পারবেন। প্রথমে চালতাটাকে ভাগে ভাগে খুলে ফেলুন। লম্বালম্বি সরু সরু করে কাটুন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা, পাঁচফোড়ন আর গোটা সর্ষে দিন। এর পর চালতা আর নুন দিন। খানিকক্ষণ নেড়েচেড়ে দেখবেন চালতাটা বেশ লালচে লালচে ভাজা ভাজা হয়ে এসেছে, তখন নামিয়ে ভাতের সঙ্গে খেতে দিন।

কুচো পেঁয়াজ ভাজা: খুব সহজে এই রান্নাটা করা যায়, অনেক কিছুর সঙ্গে স্বাদ বাড়ায়, কিন্তু আজকালকার রান্নাঘরে এর কথা খুব একটা শুনি না। পেঁয়াজ নিয়ে লম্বালম্বি করে সরু ফালিতে কেটে নিন। কড়াইয়ে ঘি দিয়ে একটু পরে পেঁয়াজ দিয়ে মুচমুচে ভাজা করে নিন, সামান্য নুন দেবেন। শুধুভাতের সঙ্গে কিংবা লুচির সঙ্গে খেতে তো ভাল লাগেই, আধুনিক জীবনের অন্য কিছু কিছু ডিশের সঙ্গেও খুব ভাল যায়। যেমন, বাড়িতে চিকেন রান্নার সময় সেদ্ধ চিকেনের যে জলটা পাই, সেটাকে ফুটিয়ে সামান্য কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ঘন করে ওপরে এই পেঁয়াজ ভাজা ছড়িয়ে দিলে খুব ভাল স্যুপ হয়ে যায়।
কুচো পেঁয়াজ ছাড়াও আস্ত পেঁয়াজও কিন্তু ভাজা করে খেতে খুব ভাল লাগে। আজকাল যাঁরা ওজনের জন্য বেশি সাবধানী, গোটা পেঁয়াজ সেদ্ধ করে সামান্য তেলে হাল্কা নুন দিয়ে নেড়েচেড়ে খেয়ে দেখতে পারেন। মুখ ফিরবে।
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু দিন আগেই বলেছিলেন, সরকার সবাইকে চাকরি দিতে পারবে না। এ দিকে সিপিএম হোলটাইমার খুঁজছে। দিদি কি ভাইবোনদের সেই চাকরির খোঁজে পাঠাবেন?
মহম্মদ আলিমুদ্দিন।

শোনা গেল, সিপিএম নতুন হোলটাইমার খুঁজছে। কর্পোরেট দুনিয়ায় লোকে যেমন চাকরি বদল করে, তেমনই হয়তো সিপিএমের পুরনো হোলটাইমাররা তৃণমূল inc জয়েন করেছে, কারণ সেখানে এখন ‘perks’ বেশি!
জব হান্টার। কলকাতা

বেচারা বঙ্গারু লক্ষ্মণ! মাত্র এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে চার বছরের জেল হয়ে গেল! যাকে বলে, পড়তায় পোষাল না!
বঙ্কাই কানেকশন। চেতলা

শাহরুখ খান অনেক বাচ্চার কাছেই এক জন রোল মডেল। তাঁকে দেখে বাচ্চারা শেখে। তিনি মাঠে বসে একটার পর একটা সিগারেট খেলে সেটা আইনগত অপরাধ তো বটেই, নীতির দিক থেকেও বড় অন্যায়। ছোটদের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।
অমিতাভ সেন। ডিফেন্স কলোনি

পরিবর্তনের এক বছরে সরকার ভাল করে হাঁটতে না শিখলেও দেখছি দাঁত উঠে গিয়েছে ঠিক!
স্যান্ডি। দিনাজপুর

পাওলি দাম একার দায়িত্বে কলকাতাকে সংস্কৃতির পীঠস্থান থেকে ‘পিঠস্থান’-এ পরিণত করছেন!
অসীম সেন। বাগুইআটি

সাম্প্রতিক শিক্ষাক্ষেত্রে কিছু রাজনৈতিক কাণ্ডে একটি প্রভাবশালী দলের নেতাদের কোয়ালিফিকেশন দেখে সত্যজিৎ রায়ের প্রতি নতুন করে শ্রদ্ধা হল। সত্যি, এখন বাংলার হাল ‘ফেলুদা’ আর ‘প্রফেসর শঙ্কু’র হাতে!
অমল সোম। বালিগঞ্জ গার্ডেন্স

ভয় হয়, আইপিএল-এর দাপটে এক দিন টেস্ট ক্রিকেটের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপিএল না হয়ে যায়!
সন্দীপন নন্দী। বালুরঘাট

Laptop: দেখেছিস, আমাকে নিয়ে ছবি হয়েছে?
PC: আরে আমাকে নিয়ে তো কবেই হয়ে গিয়েছে পদি PC-র বর্মি বাক্স।
প্রমিতা সেন।

তৃণমূল এ বছর ধুমধাম করে মে দিবস পালন করায় বিমান বসু ক্ষুব্ধ। তৃণমূল নাকি তাঁদের আইডেন্টিটি চুরি করছে! সুকুমার রায় থাকলেই নতুন ছড়া হত!
সৌরজিৎ দাশ। টালিগঞ্জ

পাশের বাড়ির প্রতিবেশী ঘায়েল।
তাই তো হল ১০০নং ডায়েল।
তোমরা নাকি অমনি করে ধাওয়া
বিয়েবাড়ির দু’টি গাড়ি আটকে দিলে বাওয়া।
এতই যারা দক্ষ! আহা তাদের বক্ষ,
আলো করে ঘুঁটের মালা ঝুলিস,
অতি ফুলিশ সল্ট লেকের পুলিশ

অবসাদ থেকে হেঁটে বেরিয়ে যান। অন্তত ওষুধ খাওয়ার সমান কাজ হবে। শুনতে খুব আশ্চর্য লাগছে তো? কিন্তু অনেকে বলছেন ঘটনাটা সত্যি। বাইশ থেকে পঁয়তাল্লিশ বছরের লোকেদের নিয়ে গবেষণায় নাকি দেখা গিয়েছে যে, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন তিরিশ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করলে ডিপ্রেশন বা অবসাদের ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার সমান উপকারিতা পাওয়া তো যায়ই, নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম চালিয়ে গেলে উপসর্গগুলো পঞ্চাশ শতাংশ হ্রাস পায়। ‘সায়েন্স নাউ’ পত্রিকার মতে এই ক্ষেত্রে ‘প্লাসিবো’ বা রোগীর মন ভোলানোর জন্য যে নিষ্ক্রিয় ওষুধ দেওয়া হয়, সেগুলো অ্যালোপ্যাথিক বা ভেষজ ওষুধের চেয়ে বেশি কাজ করে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে সিয়াটল শহরের সাইকিয়াট্রিস্ট ডক্টর আরিফ খান দুই দল রোগীকে দু’টি ঠিকঠাক মানসিক রোগের ওষুধ দেন। এই দুই দলের মধ্যে একটির ২৪% ও অন্যটির ২৫% রোগী এই ওষুধগুলিতে সেরে ওঠেন। কিন্তু তৃতীয় একটি দলকে ডাক্তার ওষুধ বলে আসলে চিনির বড়ি দেন। সেই দলের ৩২% রোগী সেই ‘ওষুধ’-এই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন! আরও সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট আর মন-ভোলানোর ওষুধ পাশাপাশি ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে যে যদিও ৫২ শতাংশ রোগী ওই অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট খেয়ে সেরে উঠেছেন, ৪৮% কিন্তু ওই মন-ভোলানো ওষুধেই সুস্থ হয়ে ওঠার দাবি জানিয়েছেন। তাই মন-ভোলানোর ওষুধকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আবার যেই সেই রোগীরা জানলেন, তাদের আসলে ওষুধ দেওয়া হয়নি, অমনি তাঁদের মানসিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে শুরু করে! এর থেকে ধারণা করা হয় যে শুধু ওষুধ নয়, তার পাশাপাশি ডাক্তারি অ্যাটেনশন, সেবার প্রতিশ্রুতি, অসুস্থ অবস্থার স্বীকৃতি, এই সবগুলো ফ্যাক্টর মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে কাজ করে।
অনেক ক্ষেত্রে ধ্যান বা মেডিটেশনও কার্যকর হয় বলে মনে করা হয়। বহু ডাক্তার রোগীদের ধ্যান করতে বলেন।

তথ্যসূত্র: দ্য বুক অফ জেনারেল ইগনোরেন্স
হিলারি ক্লিন্টন আসছেন, কলকাতায়
‘হিলারিয়াস’ মোলাকাত হতে চলেছে
অনঙ্গ শিকদার, শকুন্তলা পার্ক
ক্ষমা করিনি
তিন বছরের লুকনো ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ১৯৯৯ সালে। তখন ক্লাস ইলেভেন। ওই বছরই দশমীর রাতে ভালবাসার মানুষটি বললেন, ‘আমার অসুবিধা আছে, যা হয়েছে ভুলে যাও।’ পিসিমা বোঝালেন, কিন্তু ভদ্রলোকের এক কথা: ‘আমার অসুবিধা আছে।’ এক বান্ধবী তদন্ত করে জানাল, উনি বলেছেন, ‘মেয়েটার গায়ের রং তো ময়লা’। এইটুকু অপরাধে এত বড় শাস্তি! তবুও দীর্ঘ ৮ বছর অপেক্ষা করেছি, তিনি ফিরে আসেননি। ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি ফোনে বললেন, ‘ডিসেম্বরে আমার রেজিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে।’ এতেই আনন্দ থেমে থাকেনি। বিয়েতে কত জন নিমন্ত্রিত, এবং কবে বিয়ে করতে যাচ্ছেন ইত্যাদি ইত্যাদি বলতে থাকলেন। ভগবানের কাছে প্রশ্ন করলাম ভালবাসার মানুষ এত নিষ্ঠুর হয়? আজ তিনি বউ, ছেলে নিয়ে সংসারী। কিন্তু তাঁর দেওয়া ভালবাসা আজও আমাকে অন্য কোনও ছেলেকে ভালবাসতে, বিয়ে করতে ভয় দেখায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, হাওড়া

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.