নিয়ম বহির্ভূতভাবে সরকারি কৌঁসুলি (গর্ভমেন্ট প্লিডার ও প্যানেল প্লিডার) নিয়োগের অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকার-সহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে মালদহ আদালতের তিন আইনজীবী। গত ২৫ এপ্রিল ওই মামলা দায়ের করার পর গত ২ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ওই ৩৮ জনকে গরমের ছুটির পর আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ৩৮ জনের মধ্যে জেলাশাসক, জেলা জজ, গর্ভমেন্ট প্লিডার ও প্যানেল প্লিডার, আইন দফতরের সচিবও আছেন। আদালত সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার পরিবতর্নের পরই মালদহ আদালের জিপি ও পিপি দুইজন পদত্যাগ করেন। দীঘর্দিন এরপর ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের তরফে মালদহ আদালতের পিপি হিসাবে অসিতবরণ চৌধুরী এবং জিপি হিসাবে সলিল কুমার দাসকে নিয়োগ করেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতের আইনজীবী মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এর পরেই সরকারি নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী রাজীব আচার্য, চিন্ময় ঝা এবং ভানুচন্দ্র ঘোষ। শুক্রবার রাজীববাবু বলেন, “বেআইনিভাবে পিপি এবং জিপিকে নিয়োগ করা হয়েছে। ওই নিয়োগের নিয়ম হচ্ছে জেলাশাসক একটি প্যানেল তৈরি করবেন। তা নিয়ে জেলা ও দায়রা জজের সঙ্গে আলোচনা পর চূড়ান্ত প্যানেল রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাতে হয়। কিন্তু আমরা তথ্য জানার অধিকার আইনে নথিপত্র দেখে জানাতে পেরেছি জেলা জজের সুপারিশ করা নাম অন্য ছিল।” অভিযোগকারীরা জানান, তৎকালীন জেলাশাসক জেলা জজের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের তৈরি তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়েছিলেন। সেই অনুসারে নিয়োগ হয়। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এর বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। বিষয়টি রাজনীতির রঙও লেগেছে। রাজীববাবুর অভিযোগ, “তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ট হওয়ায় ওই দু’জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই ধরণের নিয়োগে রাজনীতি না দেখে আইন মেনে চলা জরুরি।” আর যাঁদের নিয়োগ নিয়ে এই অভিযোগ উঠেছে তাঁদের একজন, সরকারি আইনজীবী সলিল কুমার দাস বলেন, “মামলাকারীরা সিপিএম ও কংগ্রেসের লোক। এখনও হাইকোর্টের সমন হাতে পাইনি। হাতে পেলে কী করব ঠিক করব।” আরেক সরকারি আইনজীবী অসিতবরণ চৌধুরী বলেন, “হাইকোর্টের মামলার কথা শুনেছি। সমন এখনও হাতে পাইনি।” |