উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিশেষ কমিটি তৈরি করা হবে বলে জানালেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। শুক্রবার জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে সেচ দফতরের আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে এই কমিটির কথা ঘোষণা করেন মন্ত্রী। বর্ষার মরসুমের আগেই উত্তরবঙ্গের বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলি পরিদর্শনের কাজ করবে এই কমিটি। জেলার বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হবে। সাংসদ, পুরসভার চেয়ারম্যান-সহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন এবং জেলা পরিষদের সঙ্গেও কমিটি আলোচনা করবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। ফি বছর বর্ষার সময়ে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে যাওয়া ঠেকাতেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। |
জলপাইগুড়িতে একটি অনুষ্ঠানে মানস ভুঁইয়া। শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়। |
বর্ষার আগে বিভিন্ন নদী বাঁধ পরিদর্শনের পাশাপাশি সেচ দফতরের যে কাজগুলি চলছে সেগুলিও কমিটি খতিয়ে দেখবে। এদিন মন্ত্রী মানসবাবু বলেন, “বিধায়ক, মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত কমিটি উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরামর্শ দেবে, সেচ দফতরের কাজ খতিয়ে দেখবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গেও কমিটি ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের ঘনিষ্ট যোগাযোগ বজায় রাখতে বলা হয়েছে। বন্যার সময়ে নয়, বন্যার আগে থেকেই উত্তরবঙ্গে তৎপর হবে সেচ দফতর।” জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া করলা নদীর নাব্যতা ফেরাতে দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে এদিন সেচমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। জলপাইগুড়ি পুরসভার সেচ দফতরকে যে করলা আকশন প্ল্যান পাঠিয়েছে তা রূপায়িত করতে সেচ কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “করলা অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে এদিন সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে।” এদিন সার্কিট হাউসে বৈঠকের পরে জলপাইগুড়ি প্রয়াস হলে বস্ত্র ও ক্ষুদ্র শিল্প মন্ত্রকের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। হস্তশিল্পী এবং তন্তুবায়ীদের এই অনুষ্ঠানে সরকারি পরিচয়পত্র ও স্বাস্থ্যবিমার কার্ড প্রদান করা হয়। শিল্পীদের ক্রেডিট কার্ডও এই অনুষ্ঠানে প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ৭৪৫ জন শিল্পীকে পরিচয় পত্র ও ৭১জনকে স্বাস্থ্যবিমার কার্ড বিতরণ করা হয়। |