বৃষ্টি নেই, জলাশয়ও শুকিয়ে কাঠ চাঁচলে
বৃষ্টি নেই। কুয়ো, খাল, বিল, পুকুর শুকিয়ে নেমে গিয়েছে জলস্তর। জল উঠছে না অগভীর নলকূপ থেকে। সংস্কারের অভাবে অকেজো হয়ে রয়েছে সরকারি গভীর নলকূপগুলি। বিদ্যুতের কম ভোল্টেজের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের (পিএইচই) পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থাও মুখ থুবড়ে পড়েছে। স্যালোর মাধ্যমে কোনওক্রমে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন বাসিন্দারা। বিপাকে পড়েছেন বোরো ধান ও পাট চাষিরাও। মালদহের গোটা চাঁচল মহকুমা জুড়েই পানীয় ও সেচের জলের সংকটে পড়েছেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সমস্যার মেটানোর দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। তার পরেও সমস্যা মেটেনি। বহু এলাকাতে পঞ্চায়েতের বসানো নলকূপ দীর্ঘদিন ঘরে অকেজো হয়ে থাকলেও তা সংস্কার হচ্ছে না।
ছবি: বাপি মজুমদার।
বিদ্যুতের লো ভোল্টেজর জন্য সমস্যা আরও বেড়েছে। বিদ্যুত বন্টন কোম্পানির মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপক মন্ডল বলেন, “গরমের পাশাপাশি চাষের মরসুম চলছে। এতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের কিছু সমস্যা রয়েছে। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।” চাঁচলের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “বিভিন্ন এলাকার অকেজো নলকূপ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় জলস্তর নেমে গিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।” বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র হরিশ্চন্দ্রপুরের আঙ্গারমনি এলাকায় ৩ হাজার মানুষের জন্য রয়েছে ১৪টি সরকারি নলকূপ। কিন্তু গরম পড়ার আগে থেকেই সবকটিই অকেজো হয়ে গিয়েছে। স্যালো দিয়ে কোনওমতে চলছে। একই অবস্থা লাগোয়া বসতপুর, বড়োল ছাড়াও চাঁচলের খানপুর, রতুয়ার গোবিন্দপুর, হরিরামপুর এলাকারও। খানপুরে ২৫টি নলকূপের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অকেজো। কংগ্রেসের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সতীশ দাস বলেন, “বাসিন্দাদের গভীর নলকূপ বসানোর সাধ্য নেই। ফলে ভরসা সরকারি নলকূপ। কিন্তু সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানালেও সমস্যা মেটেনি।” আবার পিএইচই জল সরবরাহ প্রকল্পগুলি লো ভোল্টেজের জন্য সবসময় চালানো যাচ্ছে না বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। চাঁচল মহকুমা পিএইচই দফতরের সহকারি বাস্তুকার গৌতম দত্ত বলেন, “জলস্তর নেমে যাওয়ায় সংকট তো রয়েছেই। সমস্যা আরও বাড়িয়েছে লো ভোল্টেজ। পাম্প চলছে না। চাঁচল সদরে জলের রিজার্ভার থাকায় গভীর রাতে জল তুলে সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু রিজার্ভারবিহীন এলাকার অবস্থা খারাপ।” এই অবস্থায় মাথায় হাত পড়েছে বোরো চাষিদেরও। জলের অভাবে খেত ফেটেছে। বিদ্যুৎ থাকলে গর্ত খুঁড়ে স্যালো বসিয়েও জল উঠছে ধীর গতিতে। চাঁচলের মহকুমা কৃষি আধিকারিক অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই সংকট আরও বাড়বে। তাই চাষিদের ‘শ্রী’ পদ্ধতিতে চাষ করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ওই পদ্ধতিতে চাষে ৪০ শতাংশ কম জলের ব্যবহার হয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.