প্রসূতি বিভাগে এক মহিলার মাথায় আচমকাই ভেঙে পড়ল একটি সিলিং ফ্যান। ফ্যানের ব্লেডে গুরুতর জখম হলেন তিনি। তবে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছে তাঁর সদ্যোজাত সন্তান। শুক্রবার সকাল ছ’টা নাগাদ হাওড়া জেলা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ঘটনাটি ঘটে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত কেয়া মান্নার মাথায় আটটি সেলাই পড়েছে।
জখম প্রসূতি কেয়া মান্না। |
হাসপাতাল সূত্রের খবর, বুধবার সেখানকার প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন দাশনগরের বাসিন্দা কেয়াদেবী। পরের দিন সকালে তিনি একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। এ দিন ঘুম থেকে উঠে তিনি মেয়ের পাশেই বসেছিলেন। আচমকাই বিকট শব্দে সিলিং ফ্যানটি ভেঙে পড়ে। ফ্যানের একটি ব্লেড এসে প কেয়াদেবীর মাথায়। রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানাতেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তে হাসপাতালের বিছানা ও মেঝে লাল হয়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে অন্য কয়েক জন রোগিণী চিৎকার করে ওঠেন। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে নার্সরা ছুটে এসে আহত মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ দিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রসূতি বিভাগের ২৮ নম্বর শয্যায় মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে বসে আছেন কেয়াদেবী। ঘটনার দু’ঘণ্টা পরেও তখনও আতঙ্কের রেশ কাটেনি তাঁর চোখ-মুখ থেকে। ভেঙে পড়া ফ্যানটির জায়গায় তড়িঘড়ি লাগানো হয়েছে নতুন ফ্যান। কেয়াদেবী বলেন, “এখানে আসার পর থেকে দেখছি পাখাটা খারাপ। গরমে কষ্ট হচ্ছিল বলে বারবার জানানোর পরে ফ্যানটা গত কালই সারানো হয়। আজ সেটাই আমার মাথায় ভেঙে পড়ে।” কেয়াদেবীর পাশের শয্যায় রয়েছেন সারিকা সাউ। ঘটনার সময়ে নিজের সদ্যোজাত কন্যাকে রেখে তিনি শৌচাগারে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন, সিলিং ফ্যানটি ভেঙে তাঁর বিছানার নীচে পড়ে রয়েছে। তবে তাঁর সন্তানের কোনও ক্ষতি হয়নি।
ওই ওয়ার্ডের ইনচার্জ তাপসী বিশ্বাস বলেন, “সিলিং ফ্যানটি খারাপ ছিল। সারানোর পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটল। বিষয়টি আমরা হাসপাতাল সুপারকে জানিয়েছি।” এই ঘটনার প্রসঙ্গে হাসপাতাল সুপার শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, “এটা একটা দুর্ঘটনা। তবে কেন এমন ঘটল, সে বিষয়ে তদন্ত হবে। কারও গাফিলতি প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |