নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং |
পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাতে আশ্রয় দেওয়ার নাম করে এক বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল দার্জিলিঙের পাউন্ড রোড এলাকায়। ওই অভিযোগে দশম শ্রেণির এক ছাত্র-সহ ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা স্থানীয় বাসিন্দা।
ছাত্র বাদে বাকি চার ধৃতের নাম শঙ্কর শর্মা, সাঙ্গে ভুটিয়া, রোহন ছেত্রী ও তাসি ভুটিয়া। মিলিং চা বাগানের বাসিন্দা ওই মহিলা দার্জিলিং পার্বত্য পরিষদের কর্মী। এ দিন দার্জিলিং হাসপাতালে বধূর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাইনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধ্য তিরিশের ওই বধূ স্বামীর সঙ্গে দার্জিলিঙ যান। সেখানে দু’জনে গণ্ডগোল হওয়ায় তিনি ঠিক করেন কালিম্পংয়ে আত্মীয়ের বাড়ি যাবেন। কিন্তু গাড়ি পাননি। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে বধূর দাবি, দার্জিলিঙেও তাঁর পরিচিত কেউ ছিলেন না। তাঁর কাছে টাকাও ছিল খুব কম। কী করবেন বুঝতে না পেরে জনশূন্য পাউন্ড রোডে ঘুরতে থাকেন তিনি।
রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শঙ্কর শর্মা নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে তাঁকে হোটেলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। সঙ্গে গেলে ওই বধূকে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি-সহ ৫ জন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে ওই বধূ দার্জিলিং সদর থানায় অভিযোগ জানান। রাতেই পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সকালে ধরা পড়ে ওই ছাত্র-সহ আরও ৩ জন। |