নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কেন্দ্রীয় সংস্থায় কংগ্রেস মনোভাবাপন্নদেরই সরকারি কৌঁসুলি হিসাবে নিয়োগের জন্য দলের জেলা সভাপতি বিধায়ক শঙ্কর মালাকারকে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ করল কংগ্রেস আইনজীবী সেলের শিলিগুড়ি শাখা। শুক্রবার জেলা কংগ্রেসের তরফে বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে জয়ী কংগ্রেস আইনজীবী সেলের সদস্যদের সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত সম্পাদক উদয়শঙ্কর মালাকার ওই অনুরোধ করেন। উদয়বাবুর দাবি, “এত দিন আদালতে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের আইনজীবীরা একসঙ্গেই ছিলেন।” তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যে ক্ষমতার আসার পরেই তৃণমূলের আইনজীবীরা আমাদের এড়িয়ে যাচ্ছেন। সরকারি আইনজীবীদের প্যানেল তৈরির সময়েও তা স্পষ্ট হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতির কাছে আমাদের আবেদন শিলিগুড়িতে বিমা, শুল্ক-সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের আইনজীবীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হোক।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি সরাসরি মন্তব্য না করলেও তিনি কংগ্রেস আইনজীবী সেলের পাশেই থাকবেন বলে সদস্যদের আশ্বস্ত করেন। শঙ্করবাবুর অভিযোগ, “আদালতের সরকারি আইনজীবীদের প্যানেল তৈরির সময়ে কংগ্রেসের ৪০ শতাংশ আইনজীবীকে রাখার প্রস্তাব দিই। সেই প্রস্তাব মানা হয়নি।” শঙ্করবাবু অভিযোগের সুরে বলেন, “বামেদের ৩৪ বছরের দলতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম। রাজ্য সরকারও যে দলতন্ত্রকেই পৃষ্ঠপোষণ করছে তা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকেই স্পষ্ট।” তিনি জানান, নিয়ম হল এলাকার বিধায়ক রোগীর কল্যাণ সমিতির সভাপতির পদে থাকবেন। তা হলে জলপাইগুড়িতে সুখবিলাস বর্মা এবং দার্জিলিঙে ত্রিলোক দেওয়ানের থাকা উচিত। সেটা তা হয়নি। প্রসঙ্গত, ওই তিনটি পদেই রয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, “৩৪ বছর পরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। সকলের বাক স্বাধীনতা রয়েছে। শঙ্করবাবুর যা মনে হয় বলতেই পারেন। আমার প্রতিক্রিয়া নেই।” |