|
|
|
|
উপনির্বাচনে যৌথ প্রচারে গুরুত্ব বামফ্রন্টের বৈঠকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দাসপুর বিধানসভার উপ-নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীকে জেতাতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রচারে ঝাঁপাবে বামফ্রন্ট। ফ্রন্টের প্রতিটি শরিক দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে যোগ দেবেন। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই হয়েছে। উপনির্বাচন ‘কঠিন লড়াই’ মেনেই ফ্রন্ট-নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন, প্রচারের ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখা যাবে না। মানুষের কাছে গিয়ে দলের কথা তুলে ধরতে হবে। গত ১১ মাসে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাগুলিও সামনে আনতে হবে। নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল-জোট সরকারের কাজে সাধারণ মানুষ এমনিতেই বিরক্ত। অনেকেই অনীহা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। দাসপুরের উপ-নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে। |
|
দাসপুরে শুরু তৃণমূলের প্রচার। নিজস্ব চিত্র। |
শুক্রবার সকালে মেদিনীপুরে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে বামফ্রন্টের বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রানা, ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা নেতা সুকুমার ভুঁইয়া, সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সত্যেন মাইতি প্রমুখ। ফ্রন্ট সূত্রের খবর, ঘণ্টা-খানেকের এই বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এক, দাসপুরের উপ-নির্বাচন। দুই, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবং তিন, জেলার এখনকার পরিস্থিতি ও সংগঠন। দাসপুরের মতো এলাকায় সিপিআই-সহ ফ্রন্টের সব শরিক দলেরই কমবেশি প্রভাব রয়েছে। তাই, ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রচার চালানো গেলে এখানে ফল ভাল হবে বলেই আশা করছেন নেতৃত্ব। উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন প্রয়াত বিধায়ক অজিত ভুঁইয়ার স্ত্রী মমতাদেবী। সিপিএম ভরসা রেখেছে নতুন মুখের উপরে। প্রার্থী করা হয়েছে সদ্য দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হওয়া সমর মুখোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের বিপক্ষে নতুন মুখ থাকায় নির্বাচনের ফল ভাল হবে বলেই আশা করছেন ফ্রন্ট-নেতৃত্ব।
২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় বামফ্রন্টের মধ্যে অনৈক্য থেকে গিয়েছিল। সব জায়গায় মসৃণ জোট হয়নি। কোথাও সিপিএমের বিরুদ্ধে সিপিআইয়ের প্রার্থী ছিল। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন ওঠে। আগামী পঞ্চায়েতে নির্বাচনে যাতে এমন পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য এখন থেকেই তৎপর হয়েছে সিপিএম ও শরিক দলগুলি। শুক্রবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ ভাবেই লড়াই করবে বামফ্রন্ট। কোথাও কোনও সমস্যা হলে জেলা নেতৃত্বকে জানাতে হবে। জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবে। রাজ্যে পালাবদলের পরে জেলা জুড়ে যে ‘প্রতিকূল’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে কাটছে বলে দাবি ফ্রন্টের। বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এই অবস্থায় সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি করতেও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঠিক হয়েছে, মেদিনীপুর শহরে জেলা বামফ্রন্টের উদ্যোগে মিছিল হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৫ মে মিছিল হওয়ার কথা। ওই মিছিল থেকে আরও একবার ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র ডাক দেবেন নেতৃত্ব। ফ্রন্টের এই কর্মসূচি সফল করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করার কথাও বলা হয়েছে শুক্রবার জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে। |
|
|
|
|
|