জোটে সংশয়, দুই পুরসভায় তৃণমূলের একক মনোনয়ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া ও তমলুক |
তমালিকা পণ্ডাশেঠের নেতৃত্বে সিপিএমের ১৩ জন প্রার্থী বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই শুক্রবার হলদিয়া পুরসভার ভোটে তৃণমূলের ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র পেশ করলেন। হলদিয়া পুরসভায় মোট ২৬টি ওয়ার্ড। বাম-শিবির এবং তৃণমূলদু’পক্ষেরই বক্তব্য, সোমবার মনোনয়ন জমার শেষ দিনের মধ্যেই অন্য ওয়ার্ডগুলির জন্যও প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র পেশ করবেন।
তবে, বৃহস্পতিবার তমালিকাদেবীরা হলদিয়া মহকুমাশাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন এককাট্টা হয়ে। শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থীরা এলেন আলাদা-আলাদা। তাঁদের সঙ্গে আশা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বিশৃঙ্খলায় এক সময়ে ক্ষুন্ন হন মহকুমাশাসক শিল্পা গৌরিসারিয়াও। যে ১৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁরাই তৃণমূূলের চূড়ান্ত প্রার্থী কি না, সে নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের বক্তব্য, “যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁরা আমাদের দলেরই লোকজন। তবে দলীয় ভাবে চূড়ান্ত প্রার্থী-তালিকা জানানো হবে সোমবার।” মামুদ সাহেবের বক্তব্যেই ইঙ্গিত, প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে এখনও মতপার্থক্য রয়েছে দলে। সেই দ্বন্দ্বই আরও স্পষ্ট হয়েছে হলদিয়ার তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহার মন্তব্যে। তাঁর কথায়, “শুনেছি শুক্রবার কয়েক জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে দলের তরফে কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। প্রার্থী হিসাবে ৮ জনের নাম প্রস্তাব করেছিলাম, তাঁদের ব্যাপারেই বা কী হল, জানি না।” দলের মধ্যে কোনও বিবাদ নেই দাবি করে মামুদ সাহেবের অবশ্য বক্তব্য, “হলদিয়া পুরসভায় আমরাই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাব।” হলদিয়ায় সব আসনে তৃণমূলই প্রার্থী দিচ্ছে জানিয়েও জোটের স্বার্থে কংগ্রেসকে ২টি ওয়ার্ড ছাড়া হতে পারে বলেও এ দিন ইঙ্গিত দিয়েছেন মামুদ হোসেন। এ দিনই বিজেপি-র ৪ জনও মনোনয়নপত্র জমা দেন। |
|
তমলুকে জেলা প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন জমা পাঁশকুড়ার তৃণমূল প্রার্থীদের। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
পাঁশকুড়া পুরভোটের জন্যও শুক্রবার তমলুকের মহকুমাশাসকের কাছে তৃণমূলের পক্ষে ১৮ জন মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। যদিও এই পুরসভায় ওয়ার্ড ১৭টি। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পক্ষে দু’জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও পরে এক জনের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের দরজাও এখনও খোলা বলে জানিয়েছেন তমলুকের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র (তাঁর স্ত্রীও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন)। সৌমেনবাবুর নেতৃত্বেই এ দিন মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাঁর বক্তব্য, “জোটের স্বার্থে আমরা কংগ্রেসকে ৩টি ওয়ার্ড ছেড়ে দিতে এখনও রাজি।” কংগ্রেসের তরফে অবশ্য ৪টি ওয়ার্ড দাবি করা হচ্ছে। এই নিয়েই এখনও টানাপোড়েন চলছে। জোট করেই গত পাঁচ বছর ধরে পাঁশকুড়ার পুরবোর্ড চালাচ্ছে তৃণমূল ও কংগ্রেস। জোটের দখলে রয়েছে ১০টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে কংগ্রেসের ৩টি এবং তৃণমূলের ৭টি।
|
হলদিয়ার ১৭ তৃণমূল প্রার্থী |
পাঁশকুড়ার ১৮ তৃণমূল প্রার্থী |
(২) |
চন্দনকুমার মাজি |
(৩) |
স্বপন নস্কর |
(৪) |
রেখারানি দেব |
(৭) |
সৌমিত্র মণ্ডল |
(৯) |
হেলেন করণ |
(১০) |
মিলন মণ্ডল |
(১১) |
জ্যোতিপ্রসাদ দাস |
(১৩) |
আজিজুল রহমান |
(১৫) |
মুর্সিদা বিবি |
(১৬) |
শঙ্কর নায়েক |
(১৭) |
বিল্বপদ ভৌমিক |
(১৯) |
দুর্গা মান্না |
(২১) |
নারায়ন কুইতি |
(২২) |
কণিকা গায়েন |
(২৩) |
চান্দ্রেয়ী বিশ্বাস |
(২৫) |
দেবপ্রসাদ মণ্ডল |
(২৬) |
তরুণকান্তি মুনিয়ান |
|
(১) |
নবকুমার ভট্টাচার্য |
(২) |
রুনা খাতুন |
(৩) |
জয়ন্তী মাইতি / শেফালি বেরা |
(৪) |
শেখ সমিরুদ্দিন |
(৫) |
আশিস চক্রবর্তী |
(৬) |
সুপর্ণা পড়িয়াল |
(৭) |
শঙ্কর মন্ত্রী |
(৮) |
হরেন্দ্র মাইতি |
(৯) |
সইদুল ইসলাম খান |
(১০) |
সুমনা মহাপাত্র |
(১১) |
আবদুল হাকিম খান |
(১২) |
নন্দ মিশ্র |
(১৩) |
মঞ্জু দাস |
(১৪) |
আমজেদ আলি |
(১৫) |
আনিসুর রহমান |
(১৬) |
মুক্তারা বিবি |
(১৭) |
অনন্ত চাউলিয়া |
|
বন্ধনীর মধ্যে ওয়ার্ড নম্বর |
|
|