|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা কেআইটি বাজার |
নির্মাণে বাধা |
কৌশিক ঘোষ |
ছাদের চাঙড় খসে পড়ছে। এখানে ওখানে ডাঁই করা জঞ্জাল। নিকাশির অবস্থাও বেহাল। ঢোকার রাস্তা এত সরু যে দমকল ঢোকারও জায়গা নেই। এ ছবি কসবার বিজন সেতুর পাশে কলকাতা উন্নয়ন সংস্থা (কেআইটি) নির্মিত মাছের বাজারের। এই বাজার সংস্কারে অনেক দিন আগেই কেআইটি একটি পরিকল্পনা করে। কিন্তু অভিযোগ, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশের আপত্তিতে এখনও তা বাস্তবায়িত করা যায়নি।
কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক বিবেক ভরদ্বাজ বলেন, “কসবায় মাছের বাজার নতুন করে নির্মাণ করার জন্য কেআইটি উদ্যোগী হয়েছিল, কিন্তু কাজ এগোয়নি। কাজ যাতে তাড়াতাড়ি শেষ হয় তার চেষ্টা চলছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।”
কেআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০-এ বামফ্রন্ট আমলে কসবা মাছের বাজারের জন্য বেসমেন্ট, সেমি-বেসমেন্ট-সহ চারতলা বাড়ি নির্মাণের জন্য পুরসভায় বাড়ির নকশা জমা দেওয়া হয়। |
|
পুরসভার বিল্ডিং দফতরের নিয়মানুযায়ী একতলার কিছু অংশ ছেড়ে এবং দমকল ঢোকা এবং বেরনোর জায়গা রেখে বাড়ি নির্মাণের ছাড়পত্র দেওয়ার কথা কেআইটি কর্তৃপক্ষকে জানায় পুরসভা। নতুন বাজারে বেসমেন্ট এবং সেমি-বেসমেন্টে ৯৪টি স্টল দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। বাড়িটির চারতলা ছাড়া বাকি তিনটি তলাতেও এলাকার ১২৫ জন ব্যবসায়ীকে জায়গা দেওয়ার কথাও জানায় পুরসভা। এর পরে বাড়িটির চারতলাটি বিক্রি করারও পরিকল্পনা নেয় কেআইটি।
কিন্তু মাছের বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, নতুন বাজার নির্মাণ হলে একতলায় বেশির ভাগ জায়গা থেকেই ব্যবসায়ীদের সরে যেতে হবে। তাঁদের সেমি-বেসমেন্ট এবং বেসমেন্ট বা তার ওপরের অংশে ব্যবসা সরাতে হবে। সে ক্ষেত্রে ক্রেতার সংখ্যাও কমবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। |
|
এই বাজারের এক ব্যবসায়ী মহম্মদ হাফিজ বলেন, “বাজার মেরামত করলেই সমস্যা মিটে যাবে। নতুন বাজার নির্মাণ করে কেআইটি কর্তৃপক্ষ যেখানে আমাদের জায়গা দেওয়ার কথা বলছেন তাতে আমাদের ব্যবসা মার খাবে।” কসবা কেআইটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রবিনন্দন ঘোষ বলেন, “নতুন বাড়ি হলে বাজারটি আয়তনে কমে যাবে। সবাইকে এক জায়গায় বসতে দেওয়া সম্ভব হবে না। সেই কারণেই ঠিক করা হয়েছিল বাজারের বেসমেন্ট ও সেমি-বেসমেন্টে দোকানদারদের জায়গা করে দেওয়া হবে। বাড়িটি নির্মাণের সময়ে এই বাজারের কাছেই ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া ছাড়াও আশপাশে কেআইআটির জমিতে বাজারের বাইরে বসা ব্যবসায়ীদেরও পুনর্বাসনের কথা হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের একাংশের আপত্তি থাকায় আলোচনা ভেস্তে যায়।”
কলকাতা পুরসভার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপু দাস বলেন, “বাজারে যে কোনও সময়ে চাঙড় ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবর্জনা সাফাই এবং নিকাশির অবস্থাও খারাপ। বামফ্রন্ট আমলে নতুন করে এই বাজার নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পরে প্রকল্পটি আটকে রয়েছে। এখন বাজারের বাইরেও রাস্তায় দোকান বসায় বাসিন্দাদেরও অসুবিধা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|