উত্তর কলকাতা
অভাব বিস্তর
পঞ্চাশ পেরিয়ে
বিধানচন্দ্র রায় তখন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাধীনতা পরবর্তী শিক্ষার প্রসারে তাঁরই নির্দেশে কলকাতার সাতটি সিআইটি কমপ্লেক্সে একে একে শুরু হয় সাতটি উচ্চ বিদ্যালয়। এরই একটি ১৬ নম্বর দমদম রোডের গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড হাইস্কুল। ১৯৬২-র ২রা জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় স্কুলটি।
১৯৮০ পর্যন্ত স্কুল ছিল ডিপিআইয়ের অধীন। ৮১ থেকে আসে ডি আই-এর তত্ত্বাবধানে। সূচনায় ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’ স্তরের ইন্টিগ্রেটেড স্কুল বলা হত এদের। প্রথমে ছিল সহ-শিক্ষা, পরে পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুধু মেয়েরা পড়ত। এখন প্রথম থেকে দশম পর্যন্ত পড়ে ছাত্রীরাই। এই মুহূর্তে মোট ছাত্রীসংখ্যা ১৪৬১।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে স্কুলের পঞ্চাশ বছর পূর্তির উৎসব। স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক দিলীপ নিয়োগী বলেন, “পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াদের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হত। ফলাফলের ভিত্তিতে ভেদাভেদ হত না। স্কুলের স্বর্ণযুগ ছিল সত্তরের শেষ ভাগ পর্যন্ত। নব্বইয়ের মাঝামাঝিতে সংরক্ষণের অভাবে স্কুলটির প্রায় ভগ্নদশা হয়ে যায়।”
স্কুল বোর্ডে পরিবর্তন হওয়ার পরে সেজে উঠেছে স্কুল। পুরনো ভবনটি তিনতলা করা হয়েছে এবং তৈরি হয়েছে একটি স্থায়ী মঞ্চ। শুরু হয়েছে কম্পিউটার বিভাগ।
স্কুল-সচিব দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “মেয়েদের জন্য এই স্কুলের সঙ্গে একটি সান্ধ্য কলেজও করতে চাই।” স্কুলের প্রাক্তনী, সঙ্গীতশিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত বললেন, “আমার জীবনের প্রথম শেখা গান ‘আজ প্রথম ফুলের পাব প্রসাদখানি’ আমায় শিখিয়েছিলেন এই স্কুলেরই বাংলা শিক্ষিকা প্রয়াত মনীষাদি।”
এখনকার প্রধান শিক্ষিকা রূপশ্রী ঘোষ বললেন, “পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান। ‘প্রাইমারি’-তে দু’জন টিচার ও পাঁচ জন প্যারাটিচার। ‘ডে’-তে ইংরেজি, ভূগোল-সহ চারটি বিষয়ে কোনও শিক্ষক নেই। দুই বিভাগ মিলে গ্রুপ-ডি কর্মী এক জন। ডিসেম্বরে তিনি অবসর নেবেন। ডি-আই অফিসে জানান হয়েছে। শূন্য পদ পূরণ হলে সেটাই হবে পঞ্চাশ বছরে বড় উপহার।”




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.