উত্তর কলকাতা
প্রয়োজন রক্ষীর |
বেহাল উদ্যান |
কৌশিক ঘোষ |
ঘাস শুকিয়ে গিয়েছে। বেড়ায় জামা-কাপড় শুকোয়। অবাধে যাতায়াত চলে। এমনই অবস্থা উত্তর কলকাতার বিবেকানন্দ রোডের কাছে সিংহী লেনে কালী সিংহী পার্কের একাংশের। এই মাঠের অন্য অংশে সিমলা ব্যায়াম সমিতির কার্যালয়।
পুরসভা সূত্রে খবর, ’৯৮-এ পুরসভা পুজো সমিতিকে ৫০ বছরের জন্য পার্কের একটি অংশ লিজ দেয়। পার্কের অন্য অংশের দেখভাল করে পুরসভা। বাঁশের বেড়া দিয়ে দু’টি অংশ আলাদা করা। এই বেড়ার উপরেই জামা-কাপড় শুকোতে দেওয়া হয়। পুরসভা এক বার ঘাস লাগানোর পরিকল্পনা করলেও রেলিং পেরিয়ে মাঠে সব সময় লোক ঢোকার ফলে তা কার্যকর হয়নি।
এই পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা কোথায়? |
|
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “সর্বক্ষণের রক্ষী না থাকায় সমস্যা হচ্ছে।
শহরের সব পার্কে আমরা সর্বক্ষণের রক্ষীর ব্যবস্থা করতে পারেনি।
সর্বক্ষণের রক্ষীর ব্যবস্থা করা হবে।” এই পার্কের পুরসভার অংশের সামনে ও পেছনে একটি করে গেট আছে। সিমলা ব্যায়াম সমিতির অংশেরও সামনে এবং পেছনে একটি করে গেট রয়েছে।
বাসিন্দারা জানান, পুরসভার অংশের পেছনের গেটটির গ্রিল ভাঙা।
ফলে বারাণসী ঘোষ লেনে দিয়ে অবাধে অনেক ঢুকে পড়েন। পার্কের মাঝের বেঞ্চে রান্না চলত। |
|
অনেকে পার্কের মাঝের বেঞ্চে রাতে থাকতেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে পুরসভা বেঞ্চটির সংস্কার করে এবং তার চারপাশে গ্রিল বসিয়ে তালা দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
কিন্তু পার্কে ঢোকা বন্ধ হয়নি। অনেকে পার্কের মধ্যেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকছেন। বাঁশের বেড়া ডিঙিয়েও যাতায়াত চলে।
সিমলা ব্যায়াম সমিতির পক্ষ থেকে কোষাধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাঁ বলেন, “বাইরে থেকে লোক ঢুকে পার্কটিকে নোংরা করছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর এবং এলাকার বিধায়ক স্মিতা বক্সীকে এই বিষয়ে জানিয়েছি।”
স্মিতা বক্সী বলেন, “সংস্কার করা হলেও বাইরের লোক ঢুকে পার্কটিকে নষ্ট করছে।
এই পার্কে সব সময়ের জন্য রক্ষীর প্রয়োজন। পুরসভাকে এই ব্যাপারে জানিয়েছি।” |
|