উত্তর কলকাতা
আশঙ্কা দুর্ঘটনার

নিয়ম-ভাঙা তিন চাকা
টোর পিছনে তিন জন। সামনে চালকের বাঁদিকে দু’জন। কখনও আবার ডান দিকেও এক জন। নিয়ম কিন্তু চার জনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না। অভিযোগ, এ ভাবেই নিয়ম ভেঙে মেছুয়া পট্টি থেকে ফুলবাগানের কাদাপাড়াগামী রুটের অধিকাংশ অটো প্রতি দিন যাতায়াত করছে। সব দেখেও পুলিশ নির্বিকার।
উত্তর কলকাতার মহাত্মা গাঁধী রোড মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটের মুখে রয়েছে এই অটো স্ট্যান্ড। পাশেই রয়েছে একটি খোলা ভ্যাট। ভ্যাট ছাপিয়ে আবর্জনা রাস্তায় ছড়িয়ে থাকে। এক পাশে সার গিয়ে অটোর লাইন। ফলে রাস্তা অনেক সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। পথচারীদের যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়।
এই স্ট্যান্ড থেকে প্রতি দিন ২০০টির বেশি অটো চলে। রুটটি অধিকাংশ রাস্তা সঙ্কীর্ণ। অভিযোগ, এই অপরিসর রাস্তায় অতিরিক্ত যাত্রিবহনের ফলে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ অধিকাংশ অটো কেশবচন্দ্র স্ট্রিট ও রবীন্দ্র সরণির মোড়, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড এবং রাজাবাজার মোড়ে সিগন্যাল মানে না। ফলে সমস্যায় পড়েন পথচারীরা। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে।
কলেজ স্ট্রিটের কাছে রাস্তার দু’ধারে সন্ধ্যার পরে বাজার বসে। তাতে সমস্যা আরও বাড়ে। অভিযোগ, সে সময় পথচারীদের কার্যত প্রাণ হাতে করে হাঁটাচলা করতে হয়। অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার ফলে এই সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়ে।
যদিও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতায়াতের কথা অস্বীকার করে এই রুটের তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত ইউনিয়নের সহকারী সম্পাদক মহম্মদ জাহিদ বলেন, “আমাদের স্ট্যান্ড থেকে অটোগুলি চার জন করেই যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে। কখনও কখনও মাঝ রাস্তা থেকে কিছু অটো এক-দু’জন বেশি যাত্রী তোলে। তবে সেই সংখ্যাটি খুবই কম।”
সিগন্যাল ভাঙার ব্যাপারে তিনি বলেন, “এ ক্ষেত্রেও এক-দু’টি অটো নিয়ম ভাঙে। আমাদের ইউনিয়ন থেকে সব সদস্যকেই নিয়ম মেনে যাত্রী তোলা এবং সিগন্যাল মেনে চলার কথা বলা হয়।”
কলকাতা আরটিও-র এক আধিকারিক জানান, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে অটো যাতায়াত করলে তা দেখার দায়িত্ব মূলত ট্রাফিক পুলিশের।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রায়ই এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। তবে ওই এলাকায় অভিযান হয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেব।”

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.