পূর্ব কলকাতা
মুক্তির আশা
অবশেষে সংস্কার
বশেষে জল জমার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে পাঁচ নম্বর সেক্টর। শুরু হয়েছে ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল সংস্কারের কাজ। নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের আশা, কাজ শেষ হলে পাঁচ নম্বর সেক্টরে বর্ষায় জল জমার সমস্যা মিটবে। সুফল মিলবে মূল বিধাননগরেও।
গত কয়েক বছর ধরে নিকাশি সমস্যায় জেরবার হয়েছে বিধাননগরের পাঁচ নম্বর সেক্টর। স্বল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যাচ্ছিল। অস্থায়ী ভাবে জমা জল পাম্প বসিয়ে বার করা হচ্ছিল। শিল্পনগরীর দায়িত্বে থাকা নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটির নতুন বোর্ড দায়িত্বে আসার পরে বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়। করা হয় সমীক্ষাও।
দেখা যায়, পাঁচ নম্বর সেক্টরের মূল নিকাশি পথ ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল রুদ্ধ। অবিলম্বে খাল সংস্কারের প্রয়োজন। তা ছাড়া, রাজারহাট-নিউটাউন উপনগরীতে পরিস্রুত জল সরবরাহের জন্য কেষ্টপুর খাল ও ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত পাঁচ নম্বর সেক্টর ও বিধাননগরের আউটলেটগুলিও বন্ধ রাখা হয়েছিল।
ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল বিধাননগরের তিন ও পাঁচ নম্বর সেক্টরের মধ্য দিয়ে গিয়ে বাইপাসের কাছে বেলেঘাটা খালে মিশেছে। সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা এই খালের সংস্কার হচ্ছে। পাঁচ নম্বর সেক্টরের জল আটটি আউটফল দিয়ে এই খালে মেশে। পাশাপাশি বিধাননগর পুরসভার জলও মেশে। বেশ কয়েক বছর ধরে দু’টি বক্স ব্রিজ তৈরির কাজ চলায় খালে জল প্রবাহ বন্ধ ছিল। তার পরেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ শুরু হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ দিন খালে জল প্রবাহ হয়নি। তাই অল্প বৃষ্টিতেই পাঁচ নম্বর সেক্টরে জল জমে যেত। পাশাপাশি বিধাননগরে তীব্র মশার সমস্যা শুরু হয়।
সমীক্ষায় ধরা পড়ে, খালের নাব্যতা এত কমে গিয়েছে যে জল ব্যাক-ফ্লো করে পাঁচ নম্বর সেক্টরে চলে যায়। তাই ড্রেজিং করে নাব্যতা বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। নগরোন্নয়ন দফতর ও নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটির যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার কোটি টাকা।
নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের কার্যনির্বাহী আধিকারিক বদ্রিনারায়ণ কর বলেন, “এই প্রকল্পের কাজ করছে নগরোন্নয়ন দফতরের স্পেশাল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর। টাকা দিচ্ছে নবদিগন্ত। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে বর্ষায় জল জমার সমস্যা মিটবে।” পাশাপাশি বিধাননগরেরও জল জমার সমস্যা মিটবে বলে মনে করছেন বিধাননগর পুরকর্তৃপক্ষ।
যদিও এই প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে খালপাড়ে বেশ কিছু নারকেল গাছ কাটা পড়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষের দাবি, গাছ কাটার আগে সে বাবদ অর্থ জমা দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে পাঁচ গুণ গাছও লাগানো হবে। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “খাল সংস্কার জরুরি ছিল। পাশাপাশি সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হবে। গাছ কাটা হলেও বিকল্প ব্যবস্থাও করা হবে।”

ছবি:শুভাশিস ভট্টাচার্য




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.