|
|
|
|
|
|
|
হাঁড়ির খবর: শাহি স্বাদ |
‘মরসুমি’ দাওয়াত
সুচন্দ্রা ঘটক |
|
এই গরমে আর জোর করে মুখ ফেরাতে হবে না শাহি খানা থেকে।
সাধারণত বছরের এই সময়টা তেল-মশলায় জমকালো কোনও রান্না চেখে দেখতেও ভয় পায় শহুরে বাঙালি। কদাচিৎ লোভে পড়ে সে পাপ হয়ে গেলেও তেমন আর না করার পণ করতে হয় নিজের কাছেই। সে সমস্যার সমাধান করতেই শহরে এল গরমের উপযোগী উত্তর ভারতীয় নানা রেসিপি নিয়ে নতুন মেনু। যে কোনও দিন সন্ধ্যা অথবা দুপুরে পাত সাজিয়ে বসা যায় কাবাব থেকে রোগান জোশের মতো বাদশাহি রান্নায়। কম তেল আর মশলায় তৈরি সে সব সুখাদ্যের ভোজে বিবাদ বাধবে না গরমের মেজাজের সঙ্গে। বরং রাজকীয় সেই স্বাদ উস্কে দিতে পারে নতুন ভাবে এ মরসুমকে উপভোগ করার ইচ্ছে।
|
|
বাইরের তাপ এক চুমুকে ভুলিয়ে দিতে ই এম বাইপাসের ধারের ‘সিগরি’তে তৈরি হয়েছে কিছু নতুন ধাঁচের মকটেল। রেস্তোরাঁয় আসা সকলকে ঠান্ডা রাখতে সে সব পানীয়ে অন্য কায়দায় ব্যবহার করা হচ্ছে তেঁতুল, শসা, কারিপাতা, জলজিরার মতো অতি পরিচিত সব টুকিটাকিই। খাওয়ার শুরুতে বা মাঝপথে সঙ্গ দিতে তার থেকে বেছে নেওয়া যায় ফ্রোজেন ট্যামারিন্ড, জলজিরা মোজিতো কিংবা ক্যুকাম্বার কারি লিফ ট্যাং-এর মতো কোনও শীতল পানীয়।
গ্রীষ্মের উপযোগী করে তুলতে এই মেনুতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ দইয়ের ব্যবহারও। টক দইয়ে তৈরি উত্তর ভারতের বিখ্যাত এক গ্লাস ছাস দিয়েই শুরু করা যায় আহার। স্টার্টার এবং মেন কোর্সেও থাকছে দহি কাবাব, দহি মেথি মুরগ। বাদ পড়ছে না রায়তা আর পাপড়ি চাটও। এই খাদ্যসম্ভারের বাকি অংশ তৈরিতেও প্রাধান্য পেয়েছে স্বাস্থ্য। যে কাবাবে তেল কম লাগে তেমন কিছু পদই এ সময়ের জন্য শেফরা বাছাই করেছেন। এ সময়েও তাই নির্ভয়ে চেখে দেখা যায় সবজ্-সোয়া কাবাব, কারিপাতা আর মাছের কাবাব, তুলতুলে মাংস আর অল্প মশলা দিয়ে রাঁধা জিলাফি শিক কাবাব অথবা কুচো চিংড়ির ব্যবহারে তৈরি টকঝাল প্রন টকাটক। সঙ্গে থাকছে ছোলা থেকে আনারস, নানা জিনিসে তৈরি রকমারি স্বাদের সুশীতল স্যালাডের সম্ভার। |
|
অফিসের ফাঁকে এমন নানা স্বাদের খাবারে মধ্যাহ্নভোজ সারতে যে কোনও দিন চলে যাওয়া যায় এই রেস্তোরাঁয়। ওই অঞ্চলের অফিসযাত্রীদের জন্য সেখানে দিনের বেলায় চালু করা হচ্ছে বিশেষ বুফে। ডাল পালক থেকে মুরগ দম বিরিয়ানি, পনির কস্তরী থেকে রকমারি পরোটা, সবই চেখে দেখা যাবে সেখানে। থাকবে স্যুপ, স্টার্টার, স্যালাডেরও নিত্য নতুন আয়োজন।
শেষ পাতে অবশ্যই আরও মধুর হয়ে থাকবে এই গ্রীষ্ম-ভোজের স্মৃতি।
মালপোয়া, রাবড়ি, ফিরনি, মিষ্টি দই থেকে শুরু করে চকোলেট সস্-সহ ব্রাউনি, আইসক্রিম সবই থাকছে সে আয়োজনে। এমনকী, বাদ পড়ছে না ঠান্ডা মরসুমি ফলও। |
|
|
|
|
|