|
|
|
|
|
|
লক্ষ্য সহায়তা |
অন্য মঞ্চ |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় |
সাফল্যের এক অন্য মানে খুঁজছেন ওঁরা, মুম্বইবাসী বাঙালিদের নাটকের দল ‘আনন্দম’-এর সদস্যরা। নিজেদের খরচে ওঁরা ছুটে বেড়াচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্যানসার-আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে। আর, এই উদ্যোগে নাটকই হাতিয়ার তাঁদের।
দেশের নানা শহরে এক-দু’দিনের জন্য গিয়ে বিভিন্ন মঞ্চে ওঁরা মঞ্চস্থ করেন বাংলা নাটক। তার টিকিট বিক্রি থেকে সংগৃহীত অর্থ রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ বা মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতালের তহবিলে জমা দেন ক্যানসার-পীড়িতদের চিকিৎসার জন্য। |
|
নিউ মুম্বইয়ের ভাসিতে কালীবাড়ি এলাকায় আনন্দম-এর পাঁচটি ঘর রয়েছে। ক্যানসার-রোগীদের পরিজনেরা চিকিৎসার জন্য মুম্বই গেলে সেখানে থাকতে পারেন নামমাত্র ভাড়ায়। দলের সাধারণ সম্পাদক লাকি মুখোপাধ্যায় বললেন, “আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা সস্তায় ভাসিতে বা টাটার সংস্থা আর্নেস্ট বোর্জেস হোমে রোগীদের থাকার ব্যবস্থা করতে পারি। এর জন্য প্রতি বছর আমরা বোর্জেস হোমে ডোনেশন দিই।”
শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর সব্যসাচী হাজরা কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে রয়েছেন, বললেন, “ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। আমরা সেই ব্যয় খানিকটা লাঘব করার চেষ্টা করি।
বিভিন্ন শহরে নাটক করতে গিয়ে সেই কথাটাই জানাই সকলকে।”
সম্প্রতি কলকাতায় রবীন্দ্র সদনে পরপর দু’দিন ‘ঠাকুরের আলোয় নটী বিনোদিনী’ এবং ‘ঠাকুরবাড়ির আলো আঁধারে’ নামে দু’টি নাটক অভিনয় করে গেলেন আনন্দম-এর সদস্যরা। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী বিশ্বনাথানন্দের হাতে এক লক্ষ. টাকার চেকও তুলে দেওয়া হয় ক্যানসার-আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য।
লাকিবাবুর কথায়, “আমাদের নাটকের বিষয় রবীন্দ্রনাথ আর শ্রীরামকৃষ্ণকে নিয়ে। ফলে আমাদের নাটকে প্রেক্ষাগৃহ ভরে যায়। নাটকের উদ্দেশ্যও টিকিট বা কার্ডে লেখা থাকে। দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত আর্থিক সাহায্যে আমরা আমাদের কাজটা করে যেতে পারছি।” |
|
|
|
|
|