শহরে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ইডেনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যখন আজ পুণের হয়ে নামছেন, তখন রবিবার যুবভারতীতে পুণের টিমের বিরুদ্ধে ‘বিদায়ী’ ম্যাচ খেলতে নামছেন হোসে রামিরেজ ব্যারেটো।
নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে মহারাজকে নিয়ে শহর জুড়ে যেমন আবেগের ঢেউ, তেমনই মোহনবাগানের জার্সি গায়ে বিদায়ের মুহূর্তে সবুজ তোতাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অন্য আবেগ। আই লিগের গুরুত্বহীন ম্যাচ দেখতে উৎসাহ তুঙ্গে মোহন সমর্থকদের। বিনা পয়সায় খেলা দেখা গেলেও লোকে টিকিট কাটছে ভি আই পি বক্সের জন্য। |
যুবভারতী জুড়ে লাগানো হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের খেলার, গোল করার, উচ্ছ্বাসের, ট্রফি জয়ের মুহূর্তের নানা কাট আউট। স্টেডিয়ামের গেটে বিশাল ছবি লাগানো হচ্ছে। সঙ্গে লেখা ‘সেলাম ব্যারেটো’। তৈরি হচ্ছে সবুজ মেরুন ফানুস। যা ব্যারেটোর সম্মানে ওড়ানো হবে। ক্লাবের তরফে রুপোর পাল তোলা নৌকো, আজীবন সদস্যপদ তো দেওয়া হচ্ছেই, অসংখ্য ফুটবলপ্রেমীও তাঁদের প্রিয় ফুটবলারের হাতে তুলে দিতে চান নানা উপহার। ক্লাব কর্তারা ঠিক করেছেন, সাধারণ সদস্য-সমর্থকদের উপহার তুলে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে খেলার পর। এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দফতরও নজিরবিহীন ভাবে ব্যারেটোর হাতে তুলে দেবে এক লাখ টাকা। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র শুক্রবার বললেন, “ব্রাজিলিয়ান হলেও ব্যারেটো মোহনবাগানকে অনেক ট্রফি এনে দিয়েছেন। যা বাংলাকে গর্বিত করেছে। ব্যারেটোকে দেখে বা তাঁর পাশে খেলে বাংলার বহু ছেলে তারকা হয়েছে। সে জন্যই ওঁকে আমরা এক লাখ টাকা দেব সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
মোহনবাগান কর্তারা ঠিক করেছিলেন হুডখোলা জিপে করে সপরিবার ব্যারেটোকে মাঠে ঘোরাবেন। কিন্তু ট্র্যাকের ক্ষতির জন্য ক্রীড়া দফতরের পক্ষ থেকে তা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। এর আগে রাজ্যপালের গাড়ি ট্র্যাকের উপর দিয়ে যাওয়া নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছিল ক্রীড়ামহল। ক্রীড়ামন্ত্রী বললেন, “আমি মোহনবাগান কর্তাদের অনুরোধ করেছি ট্র্যাকের উপর দিয়ে কোনও গাড়ি না নিয়ে যেতে। মুখ্যমন্ত্রী যেমন ইডেনে শাহরুখকে নিয়ে হেঁটেছিলেন, ব্যারেটোকে নিয়ে সেটা তো করা যেতেই পারে।” ক্রীড়ামন্ত্রীর অনুরোধে মোহনবাগান কর্তারা সমস্যায়। ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে ফের এ ব্যাপারে আলোচনায় বসবেন তাঁরা।
|
বাগানে সবুজ তোতা |
ট্রফি জয়: ১৯
মোট গোল: ২২৩
সর্বোচ্চ গোলদাতা: ৬ বার। জাতীয় লিগ ও কলকাতা লিগ (২০০০-০১), ফেড কাপ
ও আইএফএ শিল্ড (’০১-০২), কলকাতা লিগ (’০৭-০৮), ফেড কাপ (’০৯-১০)। |
মরসুম ভিত্তিক সাফল্য |
|
ট্রফি |
গোল |
’৯৯-২০০০ |
১ (জাতীয় লিগ)। |
৭ |
২০০০-০১ |
৪ (ডুরান্ড, রোভার্স, এয়ারলাইন্স ট্রফি, সিকিম গোল্ড কাপ)। |
৩৯ |
’০১-০২ |
৫ (জাতীয় লিগ, ফেড কাপ, কলকাতা লিগ, বরদলৈ, সিকিম গোল্ড কাপ)। |
৩৭ |
’০২-০৩ |
১ (এয়ারলাইন্স ট্রফি)। |
২০ |
’০৩-০৪ |
১ (আইএফএ শিল্ড)। |
১৯ |
’০৬-০৭ |
২ (ফেড কাপ, সুপার কাপ)। |
৯ |
’০৭-০৮ |
১ (কলকাতা লিগ)। |
২৫ |
’০৮-০৯ |
৩ (ফেড কাপ, সুপার কাপ, কলকাতা লিগ)। |
২২ |
’০৯-১০ |
১ (কলকাতা লিগ)। |
২৪ |
’১০-১১ |
নেই। |
১৬ |
’১১-১২ |
নেই। |
৫ |
’০৫-০৬ |
মরসুমে মহীন্দ্রা ইউনাইটেডে ব্যারেটো জাতীয় লিগ ও ফেড কাপ জেতেন। |
১৪ |
|
পরিসংখ্যান: গৌতম রায় |
|