|
|
|
|
তিস্তা চুক্তিতে মমতার সায় পেতে ফের তৎপর কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদনের জন্য নতুন করে সক্রিয় হচ্ছে কেন্দ্রে মনমোহন সিংহ সরকার। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পবন বনশল আজ জানান, “তিস্তা চুক্তি নিয়ে খুব শীঘ্রই কলকাতায় গিয়ে মমতার সামনে সবিস্তার একটি প্রেজেন্টেশন দেওয়া হবে। আশা করছি, কেন্দ্র যে নতুন প্রস্তাব দিতে চলেছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থরক্ষার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা যাবে।” বনশলের এই মন্তব্য মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টনের কলকাতা সফরের আগে তাৎপর্যপূর্ণ। ঢাকা সফর শেষ করে সোমবার কলকাতায় পৌঁছবেন হিলারি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। কূটনৈতিক সূত্রে বলা হচ্ছে, তার আগে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হিলারির বৈঠকের কথা রয়েছে। সেখানে তিস্তা জলবণ্টন প্রসঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। তার পর মমতাকে তিস্তা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানাতে পারেন হিলারি।
দিল্লিতে সাউথ ব্লকের এক শীর্ষ সারির কর্তা আজ বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন আসছে। তার আগে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন হাসিনা সরকারের ঘরোয়া রাজনীতির জন্য আশু প্রয়োজন। নয়াদিল্লি চাইছে বাংলাদেশের নির্বাচনের অন্তত ছ’মাস আগে চুক্তি সম্পাদন করতে। এ জন্য ঢাকার তরফেও নয়াদিল্লির ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। সেই বিষয়টি কাল মমতার সঙ্গে বৈঠকে জানান বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “তিস্তা চুক্তিকে কেন্দ্র করে ভূকৌশলগত সম্পর্কের গুরুত্ব আমিও বুঝি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থও দেখতে হবে। কেন্দ্র যদি আশ্বস্ত করতে পারে, তা হলে সমস্যা নেই।” মঙ্গলবার বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক করিম প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের মধ্যেও তিস্তা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। প্রণববাবু শনিবার ঢাকা সফরে গেলে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে তাঁর কথা হতে পারে। কূটনৈতিক এই তৎপরতার সমান্তরালে ঘরোয়া রাজনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজাও চলছে। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব ধ্রুবজ্যোতি সিংহ ও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা চুক্তির মধ্যস্থ প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তা আর কে শুক্লা এখন কলকাতায়। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র মমতাকে কতটা আশ্বস্ত করতে পারে সেটাই দেখার। |
|
|
|
|
|