টুকরো খবর
সিভিল সার্ভিসের প্রথম দুইয়ে মহিলা

শেনা অগ্রবাল

রুক্মণী রাইয়ার
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় প্রথম দু’টি স্থান দখল করে নিলেন মেয়েরা। এই নিয়ে পর পর দু’বছর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার শীর্ষ স্থান দু’টি স্থান দখল করলেন মেয়েরা। আজ ২০১১-১২ বর্ষের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলে দেখা যায়, প্রথম স্থানে রয়েছেন হরিয়ানার যমুনানগরের বাসিন্দা শেনা অগ্রবাল। তিনি এইমস থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের বাসিন্দা রুক্মণী রাইয়ার। তিনি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্স থেকে সামাজিক উদ্যোগ সংক্রান্ত বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। তিনি প্রথম বারেই সিভিল সার্ভিসে উত্তীর্ণ হলেও শেনা তিন বারের চেষ্টায় এ বার উত্তীর্ণ হলেন। তৃতীয় বারের চেষ্টা বলেই শীর্ষ স্থান অধিকার করার কথা ভাবেননি বলে জানিয়েছেন শেনা। পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করতে আগ্রহী তিনি। সে কারণেই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রায় একই কথা বলেছেন দ্বিতীয় স্থানাধিকারী রুক্মণী। গরিব মানুষের স্বার্থে কাজ করতে চান তিনিও। গত বছরের ১২ জুন সিভিল সার্ভিসের প্রথম দফার পরীক্ষায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার পরীক্ষার্থী বসেন। এর মধ্যে ৯১০ জন উত্তীর্ণ হন। ইউপিএসসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী উত্তীর্ণ ৯১০ জনের মধ্যে ১৯৫ জন মহিলা।

বিহারে ভূমি আন্দোলনে একাই নামছে সিপিএম
ভূমিহীনদের জমি পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতিকে বিহারে হাতিয়ার করতে চলেছে সিপিএম। একই সঙ্গে গরিবদের নূন্যতম চাহিদাগুলিকে তুলে ধরে জন মানসে নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে নতুন পথের দিশা দিতে চায় দল। আর সেই পথের দিশা সন্ধানে তাঁরা ‘বেদ’ হিসেবে সামনে রাখছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, ভূমি-বিশারদ আমলা তথা রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি রিপোর্টকে। পার্টি কংগ্রেস শেষ হওয়ার পরে ২৭ এবং ২৮ এপ্রিল দলের বিহার রাজ্য কমিটির বৈঠকে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার সিপিএম। এমনিতেই বিহারে সিপিএম খুব একটা শক্তিশালী নয়। মাত্র ২১ হাজার সদস্য নিয়ে দল লড়াই চালিয়েছে এতকাল। এক সময়ে আরজেডি-র সঙ্গে বাম দলগুলির নির্বাচনী আঁতাত গড়লেও লালু-রাবড়ী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় তাতেও ভাটা পড়ে। তাই সিপিএম নিজেদের মতো করে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে,
১) সরকার নিয়োজিত ‘দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় কমিটি’-র সুপারিশ কার্যকর করতে হবে। কমিটির সুপারিশ কার্যকর করলে ২২ লক্ষ একর জমি উদ্বৃত্ত হওয়ার কথা। কমিটির রিপোর্টেই তার উল্লেখ আছে। সেই জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে।
২) যে ৪০ হাজার একর জমি ভূমিহীনদের দখলে রয়েছে তার পাট্টা দিতে হবে।
৩) দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিটি গরিব পরিবারকে বাস্তুর জন্য ৩ শতক করে জমি দিতে হবে।
৪) জমির ঊর্ধ্বসীমা কার্যকর করতে হবে।

দলের রাজ্য সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিজয়কান্ত ঠাকুর বলেন, “আমাদের মূল লড়াই জমিদারদের বিরুদ্ধে। ’৯৩ সালে জমির আন্দোলন করতে গিয়ে ১০০ জন নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ বার বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাচ্ছি।”

পণবন্দি মুক্তিতে জাতীয় নীতির দাবি রমনের
মাওবাদীদের হাত থেকে পণবন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে একটি জাতীয় নীতি তৈরির দাবি জানালেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ। গত ২১ এপ্রিল অপহরণ করা হয়েছিল সুকমার জেলাশাসক অ্যালেক্স পল মেননকে। দীর্ঘ দর-কষাকষির পরে মাওবাদীরা তাঁকে মুক্তি দিয়েছে গত কাল। এর পর আজ নয়াদিল্লিতে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “এই ধরনের সমস্যার সমাধানে একটি জাতীয় নীতি থাকা খুব দরকার। বিষয়টি নিয়ে কাল আমি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে কথা বলব।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, মেননের মুক্তি নিশ্চিত করতে কোনও ‘গোপন চুক্তি’ হয়নি। একই কথা জানিয়েছেন সরকার এবং মাওবাদীদের তরফের মধ্যস্থতাকারীরাও। এ দিকে, আজ সকালে চিন্তলনাড় থেকে হেলিকপ্টারে সুকমায় নিজের বাড়িতে ফিরলেন জেলাশাসক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মাওবাদীদের তরফে দুই মধ্যস্থতাকারী বি ডি শর্মা এবং জি হরগোপাল। স্বামীকে আরতি করে বাড়িতে তোলেন স্ত্রী আশা মেনন।

আগরতলায় এ বার নতুন রাজভবন
ত্রিপুরার রাজ্যপালের বসবাসের জন্য এ বার রাজধানী আগরতলায় নতুন রাজভবন নির্মিত হতে চলেছে। নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সে আগামী মঙ্গলবার সিভিল সেক্রেটারিয়ট সংলগ্ন এলাকায় নতুন ভবনের শিলান্যাস করবেন রাজ্যপাল ডি ওয়াই পাটিল। ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও তাঁর মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য ছাড়াও উপস্থিত খাকবেন প্রাক্তন রাজ্যপাল কে এম শেঠ এবং ও সিদ্ধেশ্বর প্রসাদ। আজ আগরতলায় সরকারি সূত্রে এ কথা জানানো হয়। স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এতদিন ত্রিপুয়ায় রাজ আমলে নির্মিত পুষ্পবন্ত প্রাসাদই রাজভবন হিসাবে ব্যবহৃত হত। রাজ অতিথি হিসেবে রবীন্দ্রনাথও থেকেছেন এই প্রাসাদে। এর স্থাপত্য ও সৌন্দর্য নজরকাড়া হলেও বয়সের ভারে এটির এখন বেশ জীর্ণ দশা। ভূমিকম্পপ্রবণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এমন ‘বিপজ্জনক’ ভবনে বাস করার বিষয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন রাজ্যপাল পাটিল। ভবনের বেশ কিছু অংশ বসবাসের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার কারণেই নতুন রাজভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় ত্রিপুরা সরকার। নতুন ভবন নির্মাণের ভার দেওয়া হয়েছে ম্যাকিনটশ বার্ন সংস্থাকে। ভবনটি হবে দ্বিতল। খরচ পড়বে ৩০ কোটি টাকা। আগামী আড়াই বছরের মধ্যে নির্মাণ কার্য শেষ হবে বলে আশা।

শপিং মলে ‘ধর্ষিত’ তরুণী
পরিচিত দুই তরুণের হাতে ধর্ষিতা হয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন এক তরুণী। গাজিয়াবাদের বৈশালী অঞ্চলে এক শপিং মলে আজ বাজার করতে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ওই দুই যুবক। তরুণীর অভিযোগ, বাজার সেরে ফেরার পথে শপিং মলের গাড়ি রাখার জায়গায় একটি গাড়ির মধ্যে তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই যুবকেরা। থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী। অভিযুক্তরা নয়ডার বাসিন্দা বলে জানায় পুলিশ।

সেতু ভেসে বিচ্ছিন্ন মাগুরাছড়া
এমনই হাল এখন সেতুটির। মনোজ মহান্তির তোলা ছবি।
জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে করিমগঞ্জ জেলার মাগুরাঘাটে সিংলা নদীর উপর নির্মিত সেতটিু। ফলে, মাগুরাছড়া, সিমসিমপুর, বারনালা, তেরোছড়া, আবাদী, শ্রীরামপুর, কাঁটানালা, নেনিয়াটিলা, পাঠাখাউরি প্রভৃতি গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ দেশের অন্য স্থান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরেও সরকারি তরফে কোনও উদ্যোগ নেই বলে এভিযোগ এলাকার ক্ষুব্ধ অধিবাসীদের। এই সেতুটি বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ওই সব এলাকার মানুষের একমাত্র মাধ্যম। ফলে, মাঝ বরাবর এর বড় অংশ ভেসে যাওয়ায় তাঁরা চরম বিপাকে । বাঁশ বেঁধে জরুরি প্রয়োজনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই নদী পারাপার হচ্ছেন। কিন্তু সে কাজেও কোনও সরকারি কর্তা বা জনপ্রতিনিধির দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। এ ছাড়া, বাঁশের সাঁকোতে পণ্য পরিবহণ সম্ভব নয় বলে পাঁচ দিন থেকে তাদের হাটবাজার বন্ধ। অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। কিন্তু তাঁরা উৎপাদিত শাক-সব্জি নিয়ে বাজারে আসতে পারছেন না। রোগাক্রান্ত মানুষের চিকিৎসার সুযোগ মিলছে না। আগে মাগুরাঘাটে ফেরিনৌকার সাহায্যে জনগণ এপার-ওপার হতেন। ২০০২ সালে সেখানে নৌকাডুবিতে সাত জনের মৃত্যু ঘটলে সেতু নির্মাণের দাবি ওঠে। দুই বছর আগে এলাকাবাসীর দাবি মেনে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাঠের সেতু নির্মিত হয়। মাত্র দুই বছরে সেতু ভেঙে ভেসে যাওয়ায় এ নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে। সার্কল অফিসার নির্মলকুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, সেতু ভেসে যাওয়ার পরই তিনি পূর্ত বিভাগকে জানিয়েছেন। ওই বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

আঁধার লোকসভা
বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে পড়লেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে। আজ লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছিলেন তিনি। এমন সময়ে লোকসভার ভিতর হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যায়। বিরোধীরাও ‘বিদ্যুৎ’ বলে চেঁচিয়ে ওঠেন। অল্প সময়েই বিদ্যুৎ ফিরে আসে। রসিকতা করে শিন্ডে বলেন, “কখনও প্রমাণ করার দরকার হয় যে আমি বিদ্যুৎমন্ত্রী। সে জন্যই এই ঘটনা।”

সচিন ১০৩, রেখা ৯৯
শততম সেঞ্চুরির পরে সচিন এ বার ১০৩। রাজ্যসভায় এই নম্বরের আসনই নির্ধারিত হয়েছে সচিন তেন্ডুলকরের জন্য। তাঁর এক পাশে শিল্পপতি বিজয় মাল্য, অন্য পাশে কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনের আসন। রেখার জন্য নির্ধারিত হয়েছে ৯৯ নম্বর আসনটি। কে তাঁর পাশে বসার সুযোগ পাবেন, তাই নিয়ে সাংসদদের মধ্যে এত দিন নানা জল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, রেখার পাশে বসবেন এ বারে রাজ্যসভায় তৃতীয় মনোনীত সদস্য শিল্পপতি অনু আগা।

ঠিকাদারকে গলা কেটে খুন করল মাওবাদীরা
মাওবাদীদের হুমকি অগ্রাহ্য করে সেচ বাঁধ মেরামতির কাজ চালিয়ে যাওয়ায় খুন হতে হল ঠিকাদারকে। ওড়িশার আদিবাসী অধ্যুষিত মালকানগিরি জেলার কালিমেলা এলাকায় সুপালু রোডের কাছে আজ বাঁধের ধারে পড়ে ছিল ওই ঠিকাদার সুবল শীলের গলাকাটা দেহ। থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অনিরুদ্ধ রাউতরায় জানান, এম ভি ৫৫ নম্বর গ্রামে সেচবাঁধ মেরামতির কাজ চলছিল ওই ঠিকাদারেরই তত্ত্বাবধানে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, আজ ভোরের দিকেই বাঁধ মেরামতির কাজ কতটা এগিয়েছে তা দেখতে এসেছিলেন সুবলবাবু। সেই সময় জনা কয়েক মাওবাদী তাঁকে ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারাই রক্তাক্ত দেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জেনেছে, সুবলই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি। এর আগে মাওবাদীরা সুবলবাবুকে হুমকি দিয়েছিল যে, তাদের অনুমতি না নিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ করা যাবে না। এলাকাটি একেবারেই অনুন্নত এবং বাঁধ সারানোর সূত্রে এলাকার দরিদ্র মানুষ কিছু টাকা রোজগার করতে পারবেন ভেবে সুবল ওই সতর্কবাণী অমান্য করেন। এতেই মাওবাদীদের চক্ষুশূল হয়ে যান তিনি। নিজের জীবন দিয়ে তারই মাসুল গুনতে হল তাঁকে।

ঝড়-আতঙ্কে কুয়োয়, জখম
ঝড়ের দাপট দেখে পালাতে গিয়ে কুয়োতে পড়ে জখম হলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নিউ জলপাইগুড়ি পুলিশ ফাঁড়ির নেতাজিপল্লিতে। পুলিশ জানায়, জখম ব্যক্তির নাম মহেন্দ্র সিংহ। বাড়ি ওই এলাকাতেই। দমকলের কর্মীরা প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় ওই ব্যক্তিকে তুলে আনেন। তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাত ৯টা নাগাদ ওই এলাকায় ঝড় ওঠে। সে সময় এক বন্ধুর সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন মহেন্দ্রবাবু। ঝড়ের তাণ্ডব দেখে দৌড় দেন তিনি। সে সময় এলাকাতেই একটি কুয়োতে পড়ে যান। স্থানীয়ারা পুলিশ ও দমকলকে খবর দেয়। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “কুয়ো বেশ গভীর ছিল। ওই ব্যক্তি সাঁতার জানায় সমস্যা কম হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে দমকল কর্মীরা তাঁকে তুলে আনে।”

সন্তান না চাওয়া বিচ্ছেদের কারণ নয়, বলছে আদালত
আর্থিক কারণে কোনও মহিলা সন্তান ধারণ করতে রাজি না হলে, তা বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে না। একটি বিচ্ছেদের মামলা খারিজ করে এ কথা জানিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। আদালতের রায়, রান্না না জানা, ধর্মে আস্থা না রাখা বা জামা-কাপড় গুছিয়ে রাখতে না পারাটাও বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে না। স্ত্রী প্রীতির থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে প্রথমে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন বছর তিরিশের রমেশ শিনয়। তাঁর অভিযোগ ছিল, গর্ভনিরোধক ব্যবহার না করে সহবাসে রাজি হন না তাঁর স্ত্রী প্রীতি। বিচ্ছেদ চেয়ে সেই সময় আরও যা যুক্তি রমেশ আদালতকে দেখিয়েছিলেন, তা তখনই খারিজ হয়ে যায়। তার পরে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতিরা রমেশকে বলেছেন, “আর্থিক সচ্ছলতা না আসা পর্যন্ত আপনার স্ত্রী মা হতে চান না বলেই আমাদের বিশ্বাস। তিনি হয়তো তাঁর সন্তানকে আরও ভাল ভবিষ্যৎ দিতে চান। এতে দোষের কিছু নেই।” এই বলেই রমেশের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

বাল্মীকিনগরে গুলিতে নিহত বনকর্মী
অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের আক্রমণে মারা গেলেন বাল্মীকিনগর ব্যাঘ্র প্রকল্পের এক অস্থায়ী বনকর্মী। গুলিতে জখম হয়েছেন তাঁর সঙ্গী। তিনিও অস্থায়ী বনকর্মী হিসাবে ব্যাঘ্র প্রকল্পেই কাজ করেন। পুলিশ জানায়, কাল রাতে বাঘা জেলার বাল্মীকিনগর থানার দারোয়াবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম জিতেন্দ্র মাহাতো (২৪)। জিতেন্দ্রর সঙ্গী গুলিতে জখম ধর্মদেব মাহাতোর চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। জঙ্গলে গরমের সময় গাছে আগুন লাগলে তা নেভানোর কাজে এঁরা যুক্ত ছিলেন। বছরের এই সময় বন দফতর অস্থায়ী ভাবে এই কাজে কর্মী নিয়োগ করে থাকে। কাল রাতে রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটে। পুরনো ঝগড়ার কারণে এই আক্রমণ বলে পুলিশ অনুমান করছে।

জলে ডুবে মৃত ৪
দু’টি পৃথক ঘটনায় অসমে অল্পবয়স্ক চারজনের মৃত্যু ঘটেছে জলে ডুবে। এদের তিনজন বালিকা। পুলিশ জানায়, আজ বিকেলে যোরহাটের টিওক এলাকায় একই পরিবারের তিন বালিকা কাওইমারি গোহাই গ্রামের পুকুরে স্নান করতে নেমে ডুবে যায়। টিওকের মাজগাঁও গ্রামেও ডুবে মারা গিয়েছে তিন বছরের এক শিশু।

চাষি আত্মহত্যার হার কমেছে, দাবি
কৃষকদের আত্মহত্যার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বলে আজ সংসদে দাবি করল সরকার। লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে অর্থ প্রতিমন্ত্রী নামো নারায়ণ মিনা বলেন, অন্ধ্র, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে কৃষকদের আত্মহত্যার সংখ্যা কমেছে। উত্তরপ্রদেশে গত বছরে এক জন কৃষকও আত্মহত্যা করেননি।

ব্রহ্মপুত্রে ডুবে মৃত্যু বেড়ে ৩৭
গত সোমবার ধুবুরি’র মেদেরটারি গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭। এদিন আরও তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের নাম মমতাজ আলি (৬৫), হাদিস সহিদুল ইসলাম (১৬) এবং ভায়েলা খাতুন (২৫)। তিনজনেরই বাড়ি মেদেরটারি গ্রাম লাগোয়া এলাকায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.